সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই পরিচয়ে এক ভুক্তভোগীর কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে সুমন মিয়া (২৭) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এ ঘটনায় বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সুমনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নিজেই।
ভুয়া পুলিশ পরিচয়কারী সুমন উপজেলার রামভদ্র গ্রামের খানাবাড়ি এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে এবং ভুক্তভোগী, বৈদ্যনাথ গ্রামের গান্ডারপাড়া এলাকার বাদশা মিয়া ওরফে নাড়িয়ার ছেলে।
থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২০জুন) রাত ১১ টার দিকে ভুক্তভোগীর বাড়িতে দুইজন অজ্ঞাত ব্যক্তি আসেন। এসময় ভুক্তভোগীর পিতা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে দৌড়ে পালানোর সময় একটি মুঠোফোন ভুলবশত রেখে পালিয়ে যায় তারা। ঘটনার দুই দিন পর গত রবিবার (২৩জুন) বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সুমন পরিচয়ে ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং ফেলে আসা মোবাইল ফোনটি নিয়ে ভুক্তভোগীকে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে কথিত এসআই সুমন ডাকেন ।
ভুক্তভোগী নিরুপায় হয়ে নগদ ২০ হাজার টাকাসহ মোবাইল ফোনটি নিয়ে বামনডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে ডিউটিরত পুলিশ সদস্য এসআই জুলিহাসকে কথিত এসআই সুমনের নম্বরটি দেখিয়ে ঘটনাটি খুলে বললে, ডিউটিরত পুলিশ সদস্য তাৎক্ষণিক তদন্ত করে জানতে পারেন , সুমন নামের কোনো পুলিশ সদস্য তাদের থানায় নেই।
পরে ভুক্তভোগী, ভুয়া পুলিশ পরিচয় দানকারী সুমনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ২৫ জুন ( মঙ্গলবার) অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এমএ আজিজ বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।