সোমবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সোমবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শ্বশুর বাড়ির সাথে সম্পর্ক রাখতে না চাওয়ায় জামাইকে মারধর

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

গাবতলি উপজেলার ১১নং দক্ষিণ পাড়া ইউনিয়নের পাড়া বাইশা গ্রামের মোঃ শামিম আহমেদ ও তার বাবা আব্দুল হান্নান কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শামিম’র শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
রবিবার ১৯মে ২০২৪ বেলা আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে পাড়া বাইশা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

সরেজমিনে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে শামিম ও তার বাবা আব্দুল হান্নান কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাওয়া যায়।

শামিম বলেন, বিয়ের পর থেকেই শামিম এবং মেহেতা আক্তার মিহি দম্পতি সুখেই সংসার করে আসছিলো। তাদের আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।কিন্তু সুখের সংসারে আগুন লাগে শামিমের শ্বশুরের কারণে।ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, প্রায় বছর খানেক আগে তার শ্বশুর ধর্ষণ মামলার আসামি হিসেবে ১বছর সাজাপ্রাপ্ত হন।তারপর থেকেই শামিম, শ্বশুর বাড়ি একই উপজেলার সুখানপুকুর আমতলী পাড়া (পোড়া পাড়া) যাতায়াত বন্ধ করে দেন।তিনি তার শ্বশুর বাড়ির সাথে সম্পর্ক রাখবেন না বলেও জানিয়ে দেন স্ত্রী মিহি আক্তারকে।সে সময় মিহি বিষয়টি মেনেও নিয়েছিলেন।
কিন্তু ঘটনার দিন শামিমের শ্বশুর আব্দুল মতিন,শ্বাশুড়ী,মামা শ্বশুর লিটন মিয়া, ভায়রা ভাই আতাউর রহমান (জিনারুল) সহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জন পাড়া বাইশা এলাকায় আসে।সেসময় শামিম ক্ষেতে কাজ করছিলো। তাকে ডেকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন কথাবার্তা বলতে থাকে এবং একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে এলোপাতাড়ি লাথি ঘুষি মারতে শুরু করে। সে সময় শামিমের বাবা আব্দুল হান্নান এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে।এবং স্ত্রী মেহেতা আক্তার মিহি ও ছেলেকে নিয়ে চলে যান শ্বশুর আব্দুল মতিন ও তার লোকজন।

এ বিষয়ে শামিম বলেন, বিনা দোষে আমাকে ও বাবাকে শ্বশুর ও তার লোকজন মারধর করেছে। আমি আইনের সহায়তা নেব এবং প্রকৃত বিচার চাই।

ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগীর ভায়রা ভাই আতাউর রহমান জিনারুল’র মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায় নি।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ভুক্তভোগী শামিম আহমেদ গাবতলি মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সম্পর্কিত