সোমবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
সোমবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

রাজশাহীতে দুটি ট্রাকের ১০ লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ

 নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে দুটি ট্রাকের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ট্রাক মালিক সৈয়দ ওয়াকার বারী। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, আসামিরা পূর্বে প্রতারণা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হলেও জামিনে থেকে পুনরায় চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দুটি ট্রাকের নম্বর হলো, ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৪৩৯১, রাজ মেট্রো-০-০২-০০৪২। গত বুধবার (৯ অক্টোবর) নগরীর হাদিরমোড় এলাকার বাসিন্দা আসলাম আলীর ছেলে মোঃ মুসলেম আলী (লিটন) এবং কাঞ্চন আলীর ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান (মিলন) এর নামে অভিযোগটি করা হয়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসামিদের সঙ্গে পূর্বে ব্যবসায়িক লেনদেন ছিলো। এ ঘটনায় তিনি রাজশাহী মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৫৩সি/২১ নম্বর মামলায় প্রতারণার (ধারা ৪২০) অভিযোগে মামলা করেন। আদালত গত ১১ সেপ্টেম্বর আসামিদের ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। বর্তমানে তারা আপিলের শর্তে জামিনে রয়েছেন। জানা যায়, অভিযুক্তরা ট্রাকগুলো ভাড়ায় চালানোর চুক্তিতে নিয়ে চুক্তি ভঙ্গ করে এবং নিজেদের দখলে রেখে দেয়। পরবর্তীতে ট্রাক মালিক আদালতে মামলা দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয়, গত ২২ সেপ্টেম্বর ট্রাক দুটি বিক্রির উদ্দেশ্যে সৈয়দ ওয়াকার বারি মিস্ত্রী ফনি দাদা ও মনু মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে হাবিবুর রহমান এর গ্যারেজে যান। সেখানে ট্রাক দুটি পরিদর্শন ও দাম দর করা হয়। কিন্তু দুই দিন পর অর্থাৎ ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে ফনি মিস্ত্রী, শহিদুল ইসলাম ও মনু মিয়ার মাধ্যমে জানতে পারেন ট্রাকগুলোর যন্ত্রাংশ খুলে নেওয়া হয়েছে। পরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, দুটি গাড়ির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ১০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। অভিযোগে আরও বলা হয়, মুসলেম আলী ও হাবিবুর রহমান মিলন নিজেরাই ট্রাকের যন্ত্রাংশ খুলে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে ফেলেছেন। ভুক্তভোগী সৈয়দ ওয়াকার বারি জানান, আসামিরা আমার ট্রাক বিক্রি করে দিতে না পেরে যন্ত্রাংশগুলো খুলে চুরি করেছে। এতে আমি ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। আমি ন্যায্য বিচার চাই। এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মেহেদী মাসুদ বলেন, অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত