প্রতীকী ছবি
উত্তরবঙ্গের সংবাদ ডেস্ক: রাজধানীতে যানজট নিরসনে এবার আন্তঃজেলা বাসগুলোর জন্য গেটলক পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এ পদ্ধতির আওতায় যে সকল বাস গেটলক সিস্টেম না মেনে যত্রতত্র যাত্রী তুলবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেবে ট্রাফিক পুলিশ।
রবিবার (১২ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনাল একটি সংবেদনশীল জায়গা। এখানে শ্রমিকরা আছেন। পাশাপাশি, যাত্রীরা বাসে চলাচল করেন। সুতরাং সকল প্রকার সংবেদনশীলতা মাথায় রেখে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়, যেন যাত্রীরা কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন। এ কারণে আমরা কখনো কঠোর হই কিংবা একটু নরমভাবে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। এ সময় তিনি আন্তঃনগর গেটলক সিস্টেম নগরবাসী ও যাত্রীদের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ প্রতিনিয়ত গেটলক পদ্ধতিটির তদারকি করবে। কোনো পরিবহন এ নিয়ম অমান্য করে যেখানে-সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম বলেন, আমরা লক্ষ করেছি মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো বনানী পর্যন্ত যত্রতত্র যাত্রী উঠায়। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল।
সম্প্রতি আমরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান ও গুলশান ডিভিশনের ট্রাফিকের উপ-কমিশনার আব্দুল মোমেনসহ শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিই যে মহাখালী থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো গাড়ি বনানী পর্যন্ত কোনো যাত্রী উঠাবে না। এর মাধ্যমে এই এলাকায় যানজট নিরসন হবে।
এ ছাড়াও, মহাখালী থেকে ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলোতে যাত্রীদের তালিকা, চালকদের নাম ও গাড়ির নম্বরসহ একটি ‘প্রস্থানপত্র’ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। পরে বনানীতে পরিবহন সংস্থাগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্তরা দেখবেন যে যাত্রীর সংখ্যা সঠিক আছে কি-না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদ্ধতির আওতায় নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত আন্তঃজেলা বাসগুলো যেখানে-সেখানে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে পারবে না। ফলে মহাসড়কে শৃঙ্খলা আনয়নে এটি অনেকটা কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়াও, ভবিষ্যতে এই পদ্ধতি মহাখালী থেকে উত্তরা রুট পর্যন্ত বৃদ্ধি করার পরামর্শও দিয়েছেন তারা। এ সময় এ পদ্ধতির কারণে যাত্রীদের নির্দিষ্ট পথের যাত্রার সময় বাঁচবে এবং ভ্রমণ আরও নিরবচ্ছিন্ন ও আনন্দদায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্টরা।