নিউজ ডেক্সঃসোমবার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশসহ ছয় দেশের জন্য নমনীয় করে ভারত। এরপর দেশটির থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ কারণে দাম পড়তির দিকে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রামে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। পাইকারি ও খুচরা উভয় বাজারেই দাম কমছে।
মঙ্গলবার এক দিনেই কেজিতে কমেছে ১৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম আরও কমতে পারে।
সোমবার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশসহ ছয় দেশের জন্য নমনীয় করে ভারত। এরপর দেশটির থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ কারণে দাম পড়তির দিকে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
দেশের অন্যতম বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি আড়তই পেঁয়াজে ভর্তি। সেখানে পাইকারিতে কেজি প্রতি ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে।
মঙ্গলবার ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি, যা আগের দিন বিক্রি হয়েছিল ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়, যা আগেরদিন বিক্রি হয় ১০০ টাকার ওপরে।
নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার, কাজির দেউরি বাজার, চকবাজার, টেরিবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা দোকানেও পেঁয়াজের দাম কমেছে। খুচরা মূল্যে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়, দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা এবং মেহেরপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা থেকে ৭৫ টাকায়, যা আগের দিনের চাইতে প্রত্যেকটিতেই কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা করে কম।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আড়তদাররা দাম নির্ধারণ করেন না। আমদানিকারকরা যে দাম বলেন, সে দামেই বিক্রি করেন। দাম বাড়া-কমায় আমাদের কোনো হাত নেই।’
তিনি বলেন, ‘গত দুদিন থেকে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ঘোষণা দেয়ার পর বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। দাম আরও কমতে পারে।’
ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে দাম কমতে থাকবে বলে জানান তিনি।
সূত্রঃনিউজ বাংলা