✍️ আহসান হাবিব রুবেল, স্টাফ রিপোর্টার
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২০নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) গভীর রাতে পাঁচটি গ্রামে ধারাবাহিকভাবে অজ্ঞাত অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রাতের নিরবতা ভেঙে আগুনের ভয়াবহতায় ছড়িয়ে পড়ে চরম আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত আনুমানিক ১১টা ৩০ মিনিট থেকে ২টার মধ্যে কশালগাঁও ও মন্ডলপাড়াসহ পাঁচটি গ্রামে একের পর এক বাড়ি ও খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন স্থানে।
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন—
-
প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (পিতা- মৃত প্রিয়নাথ রায়), সাং- মন্ডলাদাম মন্ডলপাড়া
-
বকুল চন্দ্র সেন (বড় ভাই টিপুল, পিতা- মৃত ধীরেন্দ্রনাথ সেন), সাং- কশালগাঁও সেনপাড়া (বানিয়াপাড়া)
-
রবীন্দ্রনাথ অধিকারী (পিতা- মৃত হেমচন্দ্র অধিকারী), সাং- কশালগাঁও খুটাখালপাড়া
-
অনি বর্মণ (পিতা- মৃত ধনেশ্বর), সাং- কশালগাঁও কার্তিকতলা
-
প্রকাশ চন্দ্র রায় (পিতা- মৃত ভবানী প্রসাদ), সাং- কশালগাঁও পাঁচসিরিপাড়া
এ ঘটনায় বেশ কিছু খড়ের গাদা, গবাদি পশুর খাবার রাখার ঘর ও খরখোটা রাখার ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে, তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিশাল।
ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, দুইটি স্থানে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও বাকি স্থানে স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। প্রায়ই রুহিয়ায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের দাবি, রুহিয়ায় দ্রুত একটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট স্থাপন করা হোক।
এ বিষয়ে ২০নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, “বিষয়টি জানার পর আমি ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করেছি। আমরা পুলিশ ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এটি কোনো নাশকতা কিনা, সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম নাজমুল কাদের বলেন, “আমি অগ্নিসংযোগের বিষয়টি শুনেছি। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা মনে করছেন, পরিকল্পিতভাবে একাধিক স্থানে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে, যার দ্রুত তদন্ত ও প্রতিকার জরুরি।