বৃহস্পতিবার, ৩০শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
বৃহস্পতিবার, ৩০শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় ও লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত

বিমল কুমার রায়, জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড়:

পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগীতা ও লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) উপজেলার ১০ নম্বর চেংঠী হাজরাডাঙ্গা ইউনিয়নের চৌরাস্তা মোড় শাহবাজার হারুনের ভাটা মাঠ প্রাঙ্গণেে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় তরূণ সমাজের উদ্যোগে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এ খেলার আয়োজন করা হয়।

ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা ও লাঠি খেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুল হাসান। তিনি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

এসময় স্থানীয় লাঠি খেলার বিভিন্ন দল ভিন্ন ভিন্ন ধরনের খেলা প্রদর্শন করেন। স্থানীয় লাঠিয়াল টিম তাদের দক্ষ লাঠি খেলা প্রদর্শন করে উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে তোলে। লাঠি খেলা শেষে শুরু হয় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা।
খেলায় অংশ নিতে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিযোগীরা ছুটে আসেন ঝাড়বাড়ি, বাহাদুর, ডোমার, নীলফামারি, মাড়েয়া, পঞ্চগড়,ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরসহ নানা এলাকা থেকে।

উৎসবমূখর পরিবেশে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে পেরে দর্শকদের মাঝে সন্তুষ্টি লক্ষ্য করা যায়। এতে সুস্থ বিনোদন ব্যবস্থার যেমন প্রতিফলন ঘটে, তেমনি গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি ফিরে পায় প্রাণ।

উত্তেজনা আর আবেগের মিশ্রণে মেতে ওঠে পুরো মাঠ।উৎসবমুখর আয়োজনে জমে ওঠে চিরচেনা গ্রামীণ প্রাণ।

লাঠি খেলায় অংশ নেওয়া রবিউল ইসলাম জানান, “আমরা দশ বছর ধরে এই খেলা খেলছি। মানুষ এই খেলা অনেক পছন্দ করে, তাই আমরা এখনও এটি ধরে রেখেছি।”

ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা ডোমার, নীলফামারি থেকে আসা ১১ বছরের সিয়াম বলেন ”আমার বাড়িতে ঘোড়া আছে ,আমি ঘোড়া চালাই, আয়োজনের অংশগ্রহণ করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে”

আর খেলা দেখতে আসা দর্শক মেঘলা মনির কথায় উঠে আসে আবেগের ছোঁয়া, “সবাই মিলে খেলা দেখতে এসেছি। এই ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো অনেকদিন ধরে হচ্ছিল না। আজ দেখে খুব ভালো লাগল”। এরকম আয়োজন যেন প্রতিবছর হয় সেই অনুরোধ জানান তিনি

আয়োজক সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, “স্থানীয় তরুনরা এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের ইচ্ছে ব্যক্ত করলে আমরা প্রবীনরা সহযোগিতা করি। সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা ও লাঠি খেলা আয়োজন করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।”

প্রধান অতিথি ইউএনও মাহমুদুল হাসান বলেন, ”ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা ও লাঠি খেলায় ব্যাপক মানুষের জনসমাগম ঘটেছে, আমাদের সংস্কৃতির মূল উপাদনই হচ্ছে এসব খেলা। এই আয়োজনসমূহ যেন নতুন করে সব এলাকায় চালু হয় সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি”।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসকল আয়োজনের জন্য সার্বিক সহযোগিতা অব্যহত থাকবে।

সম্পর্কিত