বুধবার, ২৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
বুধবার, ২৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সোনাতলায় বাবার লাশ ঘরে রেখে এস.এস.সি পরীক্ষা দিচ্ছে মেয়ে

শাকিল আহম্মেদ (বগুড়া)প্রতিনিধি:

বাবার লাশ ঘরে রেখে মৃত্যুর শোক বুকে চেপে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে বগুড়া সোনাতলার মোছা. মুসলিমা আকতার তাসলিমা।
১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে বাবার লাশ বাড়িতে রেখেই সে পরীক্ষাকেন্দ্রে যায়।

পরীক্ষার্থী মুসলিমা আকতার তাসলিমা উপজেলার হরিখালি উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা । তিন ভাই-বোনের মধ্যে তাসলিমা সবার ছোট। তাঁদের বাড়ি সোনাতলা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের দড়িহাঁসরাজ গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা গত সোমবার সন্ধার দিকে হরিখালি বাজারে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে বাবার লাশ বাড়িতে রেখেই তাসলিমা পরীক্ষা দিতে যায় সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। সে ১২ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দেয়। পরে বেলা ১১টার দিকে তাঁর বাবার দাফন পারিবারিক কবরস্থানে সম্পন্ন হয় ।

হরিখালি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ‘মৃত্যুর খবর শুনে মর্মাহত হয়েছি, এবং তাতক্ষণিক ভাবে আমি তাসলিমার বাড়িতে যাই। সকল খোঁজ খবর নিয়ে তাসলিমাকে মানসিকভাবে যেন ভেঙে না পড়ে সান্ত্বনা দিয়ে, মনে সাহস যোগিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে বলি। সে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

এবিষয়ে পরিক্ষা কেন্দ্রের সচিব আবুল হাই বলেন, পরীক্ষার্থী তাসলিমার মনের অবস্থা খুবই খারাপ সে যেন পরীক্ষায় মনোবল না হারায় সে বিষয়ে শান্তনা দিয়ে পরিক্ষা দেওয়ার পরামর্শ দেই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি স্বীকৃতি প্রামাণিক আমার বাংলা লেন্সকে বলেন, ‘মুসলিমা আকতার তাসলিমার বাবার মৃত্যুর খবর শুনে খুবই মর্মাহত। মুসলিমাকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা হাড়িয়ে ফেলেছি। তবে সবাইকে পৃথিবীর ছেড়ে যেতে হবে এটাই বাস্তবতা। আমি মনে করি মেয়েটি যেন সবকটি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে এবং ভালো রেজাল্ট করতে পারে। আমরা প্রশাসনের প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার খোঁজখবর রাখা হবে।’

সম্পর্কিত