প্রতীকী ছবি
উত্তরবঙ্গের সংবাদ ডেস্ক: পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক একীভূত হওয়ার তিন মাস না পেরোতেই এবার একীভূত হতে চলেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় থাকা সোনালী ব্যাংক পিএলসি ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল)।
রবিবার (১২ মে) ব্যাংক দুটির পরিচালনা পর্ষদ একীভূতের সিদ্ধান্ত অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই চুক্তি সম্পাদন করতে পারে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে। একীভূতের চুক্তি সই অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
বিডিবিএল সূত্র জানিয়েছে, একীভূতকরণের বিষয়ে পূর্ব থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা ছিল। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের পর্ষদ বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছে। পাশাপাশি, গত বুধবার (৮ মে) সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ সভায়ও বিষয়টি অনুমোদন হওয়ায় ব্যাংক দুটি একীভূত হতে চলেছে।
ব্যাংক দুটির বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করার ভিত্তিতেই রবিবার চুক্তি হচ্ছে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ শুরু করা হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর থেকে ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর কথা বলে তড়িঘড়ি করে একীভূত করার উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে এখন ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা পাঁচটি দুর্বল ব্যাংকের মধ্যে চারটিই একীভূতকরণের প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হতে সম্মত হচ্ছে না।
এ ছাড়াও, এসব ব্যাংকের মধ্যে দুটি ব্যাংক এ সিদ্ধান্তকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। অপর দিকে, অন্য ব্যাংকের সঙ্গে নিজেদের ব্যাংকের একীভূতকরণ রুখতে আন্দোলনে নেমেছেন ক্ষুব্ধ আরেক ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
তবে ঝুঁকিতে থাকা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে অপেক্ষাকৃত সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে মূলত পরামর্শ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তারই অংশ হিসেবে এই একীভূতকরণের রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়। এ ছাড়াও, ব্যাংকগুলোকে এক বছর সময় দিয়ে ‘প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ)’ নীতি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত বুধবারও (৮ মে) আইএমএফ সংবাদ সম্মেলনে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতের বিষয়টি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন করে সোনালী ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে একীভূত করতে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করার পথে হাঁটছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।