কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:১৫ মার্চ-২৪ কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সেহেরীর কাফেলায় বাঁধা প্রদান করলেন ওসি। বাঁধা উপেক্ষা করে সেহেরীতে রোজাদারদের মাইকিং করে জাগ্রত করলে মাইক এবং প্রচারের কাজে ব্যবহৃত পরিবহন জব্দের হুমকিও দিয়েছেন তিনি। যদিওবা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে এমন নির্দেশনা না থাকলেও ওসির এমন জনবিদ্বেষী কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ধর্মভীরু মুসলমানরা। তবে রাজারহাট থানা পুলিশ বলছে পরিবেশ দূষণ রোধে মাইকিং বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। জানা গেছে,১৩ মার্চ বুধবার রাত ৩টায় রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের চাকিরপশার তালুক গ্রামে কাফেলার উদ্যোক্তা যুবক মোহাম্মদ রনি ও তার সহকর্মীরা প্রতি বছরের ন্যায় সেহেরীর সময় রোজাদারদের জাগাতে কাফেলা বের করে। এ সময় রাজারহাট থানার এসআই নিরঞ্জনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে ওই যুবকদের কাফেলা বন্ধ করে দেয়। এতে মানসিক কষ্ট পান যুবক রনি ও তার সহকর্মীরা।
কাফেলার উদ্যোক্তা যুবক মোহাম্মদ রনি বলেন,
কি কারণে আপনারা কাফেলা বন্ধ দিচ্ছেন আমি পুলিশকে এমন প্রশ্ন করলে এসআই নিরঞ্জন বলেন-এটি ওসি স্যারের নির্দেশ। আপনারা যেদিক দিয়ে এসেছেন সেদিক দিয়ে চলে যান। আর কোনদিন মাইকিং করবেন না। যদি মাইকিং বের করেন তাহলে গাড়ি এবং মাইক থানায় নিয়ে যাওয়া হবে এমন হুমকি দেন পুলিশ। চাকিরপশার ইউনিয়ন দফাদার রশিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
স্থানীয় কাদের আলী,আব্দুল বাতেন এবং মন্তাজ আলী বলেন,যুবক রনি ও তার সহকর্মীরা প্রতি রমজান মাসে মাইকিং করে রোজাদারদের জাগিয়ে তোলে। তারা দীর্ঘ ১০-১৫ বছর থেকে এভাবে কাফেলা বের করে। এতে দোষের কি আছে। এটা আমাদের ঐতিহ্য। তাছাড়া কোন পুলিশ অফিসার রাজারহাটের ইতিহাসে কোন বার কাফেলা বের করতে বাঁধা দেয়নি। এই ওসি সর্বপ্রথম রাজারহাটে সেহেরীর কাফেলা বন্ধ করে দিল। বিষয়টিতে আমরা ব্যাথিত। রাজারহাট থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসএসসির পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে কাফেলার মাইকিং বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া রমজান মাসে উচ্চ শব্দে মাইকিং করায় পরিবেশ দূষণ এবং অসুস্থ রোগীদের সমস্যার কারণে মাইকিং বন্ধ করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে কথা হলে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন,আমি বিষয়টি জানি না। এরকম কোন নির্দেশনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন-এজাতীয় কোন নির্দেশনা নেই। আমি বিষয়টি দেখতেছি।’