স্টাফ রিপোর্টঃ
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা ভারতকে উদ্দেশ করে বলেছেন, বন্ধুত্বের বদলে সীমান্তে গুলি বন্ধ করতে হবে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এ সমাবেশের আয়োজন করে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক খন্দকার আরিফের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির ন্যায়পাল রায়হান কবীর, সংগঠক ও কলামিস্ট নাহিদ হাসান। এ ছাড়া স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, ভারতকে বুঝতে হবে ছোট হলেও আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। ফেলানী থেকে স্বর্ণা কিংবা জয়ন্ত, এভাবে নির্বিচারে ভারতের হত্যাকে আমরা আর মেনে নিতে পারছি না।
সংগঠক নাহিদ হাসান বলেন, ‘ভারত আমাদের প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র। তারা বন্ধুত্ব দেখাবে এটাই কাম্য। বন্ধুত্বের বদলে গুলি বন্ধ করতে হবে। আমরা বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানাই।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদুল হক বলেন, ‘দিল্লির দাসত্ব করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। বিরোধ দিল্লির সঙ্গে। তারা তাদের সাম্রাজ্যবাদী আচরণ দেখিয়ে যাচ্ছে। আর কোথাও দিল্লি নেই। কেউ দিল্লির সঙ্গে নেই। বাংলাদেশে দিল্লির গোলাম নেই। বাংলাদেশের মানুষ আর দিল্লির দাসত্ব করবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বর্ণা দাসের ঘটনার পর ভারত বললো বিজিবি তাকে মেরেছে। কিন্তু সীমান্ত হত্যা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। কারণ দিল্লি বাংলাদেশকে গাজা উপত্যকা মনে করে। গাজা মডেল দিল্লি আমদানি করেছে। এটা বাংলাদেশের জনগণ মানবে না। সীমান্ত হত্যা বন্ধ না হলে কুড়িগ্রাম থেকে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ করা হবে।’ সন্ধ্যায় শেষ হওয়া জনসভা শুরু হয় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে স্বর্ণা রানী দাশ (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছিল। সেদিন রাতে মা সঞ্জিতা রানী দাশের সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরায় থাকা ভাইকে দেখতে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। গত ৯ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী এলাকায় বিএসএফ টহল দল বাংলাদেশি নাগরিক জয়ন্ত কুমার সিংহকে (১৫) গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায় বিজিবি।