সোমবার, ২৭শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
সোমবার, ২৭শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

হাওলাত দেওয়া টাকা তুলতে বিকল্প পদ্ধতি ব্যাবহার করেছেন শিক্ষক আব্দুল আউয়াল

আরিফুল ইসলাম জয়,কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারী প্রতিনিধিঃধারের টাকা তুলতে ঋণগ্রহীতাদের কাছে হালখাতার চিঠি দিয়েছেন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় এম এ এম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল আউয়াল। এরইমধ্যে সবার কাছে হালখাতার চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। আগামী ১২ জানুয়ারি হালখাতা অনুষ্ঠিত হবে। হালখাতার একটা চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে আব্দুল আউয়াল চিঠিতে লিখেছেন, ‘আপনাদের টাকা হাওলাত দিয়ে আমি আনন্দিত। আগামী ১২ জানুয়ারি হালখাতার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত হালখাতায় আপনি উপস্থিত হয়ে ঋণ পরিশোধ করে ঋণমুক্ত থাকুন।’

ধারের টাকা পরিশোধ করতে ৩৫ জন ঋণগ্রহীতাকে চিঠি দিয়েছেন ওই শিক্ষক। এসব মানুষের মধ্যে বেশিরভাগই তার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনসহ কাছের মানুষ।

হালখাতার চিঠি পাওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ‘হালখাতার চিঠি পেয়ে প্রথমে হতভম্ব হলেও পরে বুঝতে পেরেছি ধারের টাকা ফেরত দিতে দেরি হয়েছে। আশা করছি হালখাতায় তার টাকা পরিশোধ করে দেবো।’

হালখাতার আয়োজক শিক্ষক আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘যারা টাকা ধার নিয়েছেন তাদের সঙ্গে প্রতিদিন ওঠাবসা রয়েছে। লজ্জায় তাদের কাছে টাকা ফেরতও চাইতে পারি না। তারাও দেওয়ার নাম করে না। পরে তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে হালখাতার ধারণা মাথায় আসে। এতে তাদের সঙ্গে মনোমালিন্যও হলো না, আবার টাকা ওঠার সম্ভাবনা শতভাগ রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ৩৫ জনকে চিঠি দিয়েছি। এদের মধ্যে কেউ তিন বছর আগে টাকা নিয়েছেন। সবমিলিয়ে আমার তিন লাখ টাকার মতো ধার দেওয়া আছে। চিঠি পেয়ে অনেকে টাকা পরিশোধ করতে উদ্যোগ নিয়েছেন।

সম্পর্কিত