মঙ্গলবার, ৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি
মঙ্গলবার, ৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

রাজবাড়ীর নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

 

রাজবাড়ী প্রতিনিধি ॥

রাজবাড়ীর নদ-নদী গুলোতে টানাবর্ষণের ফলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে পানি বৃদ্ধি হলেও বিপদসীমার নিচেই রয়েছে নদী গুলোর পানি। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ৫৭ কিলোমিটার নদী তীরবর্তী অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (০৪ আগস্ট) সকাল ৯টার পরিমাপকৃত তথ্য অনুযায়ী পদ্মা নদীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে পানি ৬ দশমিক ৮৬ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ৮ দশমিক ২০ মিটার। পদ্মা ও হড়াই নদীর মহেন্দ্রপুর পয়েন্ট পানি ৭ দশমিক ৭৯ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্ট পানি বিপদসীমা ১০ দশমিক ৫০ মিটার। পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ৮ দশমিক ৫০ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্ট পানির বিপদসীমা ১০ দশমিক ৫২ মিটার। গড়াই নদীর কামারখালী ব্রিজ পয়েন্টে পানি ৬ দশমিক ৫৮ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ৭ দশমিক ৭৫ মিটার।

আরও জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ১০ মিটার, মহেন্দ্রপুর পয়েন্ট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ০.০৭ মিটার, পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ১৫ মিটার এবং কামারখালীর গড়াই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ১১ মিটার।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এম এ শামীম বলেন, টানাবর্ষণে রাজবাড়ীর বিভিন্ন নদ-নদীর পানি দুই দিন ধরে বাড়ছে। মাঝে কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি কমে ছিল। পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো কোথাও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। নিম্নাঞ্চল বা নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি।
পানি বৃদ্ধিতে কয়েকটি স্পটে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে ভাঙন প্রতিরোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে।

সম্পর্কিত