বিমল কুমার রায়, পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বিএনপি নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামের দায়ের করা মিথ্যা মামলা ও বিএনপি নেতা আজাদের বিরুদ্ধে স্লোগানের প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিজয় চত্বর থেকে কয়েক হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীর বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে থানার সামনে এক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং মামলা প্রত্যাহার সহ উপজেলা জামায়াতে ইসলাম এর সাবেক পৌর আমির আবুল বাশারকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন তবারক হ্যাপি বিক্ষোভ সমাবেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“দেবীগঞ্জে একটি সামান্য ঘটনা ঘটেছিল—কিন্তু সেটিকে কেন্দ্র করে জামায়াত পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টায় নেমেছে। তারা আগে থেকেই ষড়যন্ত্রের ছক এঁকে রেখেছিল। সেই নীলনকশা অনুযায়ী আমাদের নিরীহ নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদের নাম ঘিরে উস্কানিমূলক ও প্রক্রিয়াবহির্ভূত স্লোগান দিয়ে তারা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাইছে। এ থেকেই পরিষ্কার বোঝা যায়—দেবীগঞ্জকে অশান্ত করে একটি অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির নেপথ্যে সুপরিকল্পিত মহল সক্রিয় রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,
“জামায়াত-শিবিরের এই অপচেষ্টা কখনো সফল হতে দেওয়া হবে না। আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই—বিএনপি মাঠে আছে, মাঠে থাকবে। অন্যায় মামলা, ভয়ভীতি কিংবা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মুখে আমরা পিছিয়ে যাব না। দেবীগঞ্জে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার যেকোনো প্রয়াসের জোরালো জবাব দেওয়া হবে। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে, তাই কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো কাল্পনিক মামলা কিংবা রাজনৈতিক চক্রান্তের মাধ্যমে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না।”
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে চেংঠি হাজরাডাঙ্গা ইউনিয়নের একটি চায়ের দোকানে জামায়াত ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের জেরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে রাত দুইটার দিকে জামায়াত নেতা আবুল বাশারের নেতৃত্বে কর্মীরা থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় এবং চেংঠি হাজরাডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবিকে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫০–৬০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে এজাহার দায়ের করেন। এজাহারে মারধর ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়।
এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা সাংবাদিকদের বলেন, “অভিযোগ করার সবার অধিকার রয়েছে। তবে তদন্তে সত্য প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে হয়রানি করা হবে না।”
—
বিমল কুমার রায়
পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি
মোবাইল: ০১৭৪৩৬৬৫৭০৯
তারিখ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫