স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম:
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মো. আবু সাঈদ জনি। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত প্রথম দফার ১২৫টি আসনের তালিকায় উলিপুর থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। তরুণ নেতৃত্ব, মাঠপর্যায়ের সক্রিয়তা ও এলাকায় দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক উপস্থিতির কারণে জনিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
এনসিপি জানায়, উলিপুরে জনির জনসংযোগ ও গ্রহণযোগ্যতা চোখে পড়ার মতো। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং সংগঠনী দক্ষতা বিবেচনায় তাঁকে এই আসনে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারবে বলে মনে করছে দলটি।
উলিপুরের রাজনীতিতে জনির পরিচিতি নতুন নয়। স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াকালীন তিনি ছাত্রদলের সক্রিয় নেতা ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত জনি দলীয় কর্মসূচি, আন্দোলন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিয়মিত অংশ নিতেন। সাহসী, পরিশ্রমী ও তরুণ নেতৃত্ব হিসেবে এলাকায় তাঁর সুনাম রয়েছে।
তবে দলীয় অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ ও ব্যক্তিগত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে তিনি বিএনপি থেকে সরে আসেন বলে স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের দাবি। নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবার এনসিপির ব্যানারে নির্বাচনে নামার সিদ্ধান্ত তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি–ঘরানার রাজনীতি থেকে উঠে আসায় বিরোধী ভোট ব্যাংক থেকে সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা তাঁর আছে। তরুণ ভোটারদের মধ্যেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা এনসিপির জন্য বাড়তি সুবিধা হয়ে উঠতে পারে।
এখন নজর ভোটারদের। প্রাথমিক মনোনয়ন ধরে রেখে জনি কি চূড়ান্ত মনোনয়ন পান, আর নির্বাচনী মাঠে তাঁর উপস্থিতি কেমন প্রভাব ফেলে—তা দেখার অপেক্ষায় কুড়িগ্রাম-৩ আসন।













