প্রতীকী ছবি
উত্তরবঙ্গের সংবাদ ডেস্ক: পশ্চিম এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।
বুধবার (৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের টাইগারপাসে অবস্থিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) কার্যালয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় মেয়র রেজাউল করিম তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি, নগরীর যোগাযোগ অবকাঠামোকে পুনর্বিন্যাস্ত করতে আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এর সঙ্গে, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসনের উদ্দেশ্যে সিটি কর্পোরেশনের একাধিক প্রকল্পের কাজ চলমান আছে বলেও জানান তিনি।
ফলে চট্টগ্রাম এখন বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য একটি আদর্শ স্থানে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করে মেয়র আরও বলেন, তুরস্ক এই সোনালী সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আরও বর্ধিত আকারে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারবে।
তুর্কি রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বলেন, বাংলাদেশ-তুরস্ক দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পেরোতে যাচ্ছে। গত অর্ধ শতাব্দীতে বাংলাদেশের সুখ-দুঃখে সর্বদা তুরস্ক পাশে ছিল। তবে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের গভীরতা দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হতে দেখা যায়নি। এ জন্য সাম্প্রতিককালে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যকার দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যকে দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা তুরস্কের অন্যতম লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি করায় এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে বলে তিনি বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
পরে তুরস্কের স্বাস্থ্য খাতের সাফল্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি মেডিক্যাল ভ্রমণ গন্তব্যের একটি তুরস্ক। গ্রীষ্মকালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ভ্রমণকারীরা চিকিৎসা নিতে তুরস্কে যান। কারণ তুরস্কের স্বাস্থ্য খাত অত্যন্ত জটিল ও বিরল বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। তবে করোনা মহামারীর সময়ে তুরস্কে ভ্রমণকারীর সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেলেও ২০২৩ সালে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে আবারও ৫০ মিলিয়নে উন্নীত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের মেয়র এবং তুর্কি রাষ্ট্রদূতের এ সৌজন্য সাক্ষাতে আরও উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের রিয়ার অ্যাডমিরাল মুস্তফা কায়া, কর্নেল এরদাল শাহিন, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশে তুরস্কের অনারারি কনসাল জেনারেল সালাহউদ্দিন কাশেম খান প্রমুখ।