স্বপ্না আক্তার স্বর্ণালী শাহ্, নীলফামারী।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নীলফামারীর দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। নীলফামারী-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. মো. কামরুল ইসলাম এবং নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে মনোনীত হয়েছেন আবু সাঈদ লিওন। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর দুটি আসনেই রাজনৈতিক অঙ্গন সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
নীলফামারী-২ আসনে ডা. মো. কামরুল ইসলাম
মনোনয়ন পাওয়ার পর ডা. মো. কামরুল ইসলাম বলেন,
“আলহামদুলিল্লাহ, আমাকে মনোনীত করায় নীলফামারীবাসী, দুই নং গোড়গ্রাম, হাজিগঞ্জ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির সব অঙ্গসংগঠনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। উন্নয়ন ও জনগণের সেবা—এটাই হবে আমার মূল লক্ষ্য।”
দলের স্থানীয় নেতারা মনে করছেন, তার প্রার্থিতা এলাকায় নতুন রাজনৈতিক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে আবু সাঈদ লিওন: জনগণকে নিয়ে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি
জলঢাকা আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার পর আবু সাঈদ লিওন এলাকার মানুষের প্রতি এক বিস্তৃত বার্তা দেন। তিনি বলেন, জলঢাকার মানুষই আমার শক্তি। এ অঞ্চলের প্রতিটি গ্রাম, প্রতিটি ঘরের দুঃখ-কষ্ট আমি জানি। আমি রাজনীতি করি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়।”
তিনি আরও বলেন,
“জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জলঢাকাকে উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও কৃষিতে এগিয়ে নিতে চাই। যুবক, কৃষক, শ্রমজীবী মানুষ, নারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ন্যায্য সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য। আমি চাই জলঢাকার প্রতিটি মানুষের জীবনে বাস্তব পরিবর্তন আনতে।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে লিওন বলেন,
“যোগাযোগব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, কৃষি উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান—এই পাঁচটি ক্ষেত্রকে সামনে রেখে কাজ করব। দলমত নির্বিশেষে আমি জলঢাকার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।”
তার মনোনয়নকে কেন্দ্র করে জলঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আলোচনা, মতামত ও প্রত্যাশার সুর আরও জোরদার হয়েছে।
জেলায় নির্বাচন-পূর্ব রাজনৈতিক উত্তাপ
দুটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ায় নীলফামারী জেলায় এনসিপির রাজনৈতিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী প্রস্তুতি জোরদার করছেন এবং মাঠে সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেছেন।













