নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সরকার ঘোষিত তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদকালে আগামী ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে শুভ উদ্বোধন এবং ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেল ৩টায় হোকডাঙ্গা ফকিরপাড়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, কেন্দ্রীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, বখতিয়ার হোসেন শিশির ও মশিউর রহমান।
সভাপতিত্ব করেন মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মুহসিন আলী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এম. আলমগীর কবির (খোকন), প্রভাষক, আরসিসিআই পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রংপুর।
সভায় বক্তারা বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুধু উত্তরাঞ্চলের নয়, সারাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের এক মহাপরিকল্পনা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পানি ব্যবস্থাপনা, কৃষি উন্নয়ন, নদী রক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও নৌ-পরিবহন ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে যাবে। বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, সরকারের ঘোষণার পরও কার্যকর পদক্ষেপে দেরি হলে মানুষের মধ্যে হতাশা বাড়বে। তাই অবিলম্বে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের তাগিদ দেন তারা।
অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, “তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে কেবল নদী ও পরিবেশই রক্ষা পাবে না, উত্তরাঞ্চলের কোটি মানুষের জীবিকা, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত হবে। আমরা চাই ডিসেম্বরের মধ্যেই এ প্রকল্পের উদ্বোধন হোক।”
শফিয়ার রহমান তার বক্তব্যে বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।”
বক্তারা আরও জানান, তিস্তা মহাপরিকল্পনার ৬ দফার মধ্যে রয়েছে—
১. নদী খনন ও পাড় রক্ষা কাজ দ্রুত শুরু,
২. কৃষি ও সেচের জন্য পানি সংরক্ষণ,
৩. আধুনিক বাঁধ নির্মাণ,
৪. নদীভাঙন প্রতিরোধ ও বাস্তুচ্যুত মানুষের পুনর্বাসন,
৫. নৌপথ সচল করা,
৬. কর্মসংস্থান ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
সভা শেষে বক্তারা সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন জোরদারের আহ্বান জানান।











