স্বপ্না আক্তার স্বর্ণালী, জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। এরই মাঝে নীলফামারীর রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)–এর অন্যতম প্রিয় মুখ, সাবেক সফল সভাপতি ও সাবেক রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব শামসুজ্জামান (জামান)। কর্মীবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ও ত্যাগী নেতা হিসেবে তিনি ইতোমধ্যেই দলের প্রতিটি স্তরে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে দলীয় দুঃসময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন নিষ্ঠা, সাহস ও কর্মদক্ষতার সাথে। কর্মীরা তাকে মনে রাখেন দূরদর্শী সংগঠক এবং রাজপথের সাহসী সৈনিক হিসেবে। নেতৃত্বের প্রেরণাদায়ক ইতিহাস ২০১৮ সালে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালনকালে জামান ভাই শুধু সাংগঠনিকভাবে নয়, বরং মানবিক দিক থেকেও ছিলেন সবসময় সামনে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা আজও স্মরণ করেন তার নিরলস পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও নেতৃত্বের দৃঢ়তা। দলীয় সংকট ও দুঃসময়ে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়ে সংগঠনকে বাঁচিয়ে রাখেন, তাদের মধ্যেই অন্যতম একজন শামসুজ্জামান জামান। নেতাকর্মীরা বলেন, “উনি ছিলেন মাঠে, থাকেন মাঠে, থাকবেন মাঠেই।”
তার নেতৃত্বেই বিএনপি নীলফামারীতে শক্ত ভিত গড়ে তুলেছিল। সংসদ সদস্য না হয়েও উন্নয়নের স্থপতি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শামসুজ্জামান জামান কখনো সংসদ সদস্য ছিলেন না, তবুও তিনি এলাকায় অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজের উদ্যোগ নিয়েছেন। রাস্তা ঘাট, স্কুল-কলেজ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মানবিক সহায়তার নানা ক্ষেত্রেই রয়েছে তার সরাসরি ভূমিকা। একজন বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষক বলেন, “জামান ভাই নিজ উদ্যোগে আমাদের স্কুলের জন্য সহায়তা দিয়েছেন। তিনি রাজনীতি করেন মানুষের জন্য, নিজের জন্য নয়।”
একজন কৃষক বলেন, “আমরা যখন কৃষিপণ্য বিক্রি করতে হিমশিম খাচ্ছিলাম, তখন জামান ভাই নিজে এসে বাজারের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেন।” দলের আশা-ভরসার নাম বর্তমানে নীলফামারী জেলার বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সর্বসম্মতিক্রমে মনে করছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে শামসুজ্জামান জামান-ই হতে পারেন সেরা বিকল্প। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বলেন, “তিনি শুধু নেতা নন, একজন সংগঠক, যিনি দলের দুঃসময়ে সাহসের প্রতীক ছিলেন। তাঁর ওপরই নির্ভর করছে জেলার রাজনীতির ভবিষ্যৎ।” একজন উপজেলা বিএনপি নেতা বলেন, “আমাদের সংগঠনের ভাঙা ভিত আবারও গড়ে উঠবে জামান ভাইয়ের নেতৃত্বে। তাঁকে কেন্দ্র করেই জেলা বিএনপিতে ফিরবে গতিশীলতা।”
নীলফামারী বাসীর প্রত্যাশা শামসুজ্জামান জামান এখন আর শুধু দলের নেতা নন, তিনি নীলফামারীর সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তার মানবিকতা, সৎ নেতৃত্ব এবং উন্নয়ন ভাবনার প্রতি মানুষের ভালোবাসা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এলাকার একজন তরুণ ভোটার বলেন, “আমরা এমন একজন নেতার দিকেই তাকিয়ে আছি, যিনি রাজনীতি করেন সেবার জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়।
জামান ভাইয়ের মতো নেতৃত্ব পেলে আমাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ হবে।” শামসুজ্জামান জামান একজন নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যিনি দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নীলফামারীর জনগণ আজ তাঁর দিকেই তাকিয়ে, তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত একটাই বাক্য— “আপনার অপেক্ষায় “তৃণমূল নেতাকর্মীদের দৃঢ় সমর্থন দলীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, “জামান ভাই” আমাদের ভালোবাসার নাম। তার হাতে নীলফামারীর বিএনপির গৌরবোজ্জ্বল অতীত ফিরে পাবে। দলের সুদিন ফিরিয়ে আনতে তিনি সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। একজন সাধারণ সদস্য থেকে রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসা জামান ভাই সম্পর্কে স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলেন, “উনি আমাদের দলের দুঃসময়ে যেমন পাশে ছিলেন, তেমনি জনগণের দুঃখ-দুর্দশার সময়ও ছিলেন ছায়ার মতো। জাতীয় সংসদের এমপি না হয়েও বহু উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেছেন তিনি।”
উন্নয়নের রাজনীতি ও মানবসেবায় অঙ্গীকার জানা গেছে, শামসুজ্জামান (জামান) রাজনীতিকে শুধুই ক্ষমতার পথ হিসেবে দেখেন না। বরং জনগণের সেবাই তার মূল লক্ষ্য। বিভিন্ন সামাজিক, শিক্ষামূলক ও মানবিক উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি এলাকাবাসীর আস্থা অর্জন করেছেন।
নীলফামারীবাসীর আশা ও প্রত্যাশা বর্তমানে দলের কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত জোরালো দাবি উঠেছে—নীলফামারী জেলা থেকে শামসুজ্জামান (জামান) যেন আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পান। নেতাকর্মীদের বিশ্বাস, তার নেতৃত্বে দল পুনরায় সংগঠিত হবে এবং জাতীয়তাবাদী রাজনীতি আবারও প্রাণ ফিরে পাবে। একজন ত্যাগী নেতা বলেন, “আমাদের প্রিয় নেতা জামান ভাইয়ের হাত ধরেই নীলফামারীর রাজনীতি নতুনভাবে জেগে উঠবে। তার প্রজ্ঞা, জনসংযোগ ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি তাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।” শামসুজ্জামান (জামান) এখন কেবল একজন রাজনীতিবিদ নন—তিনি নীলফামারী জেলার মানুষের প্রত্যাশার প্রতীক। তার প্রতি আস্থা রেখেই অনেকেই বলছেন, “আপনার অপেক্ষায় নীলফামারীবাসী”।













