সঙ্কটের দুই বছর পূর্তি ও পাঁচ দফা দাবিতে সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গারা। নিজেদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।
উখিয়া উপজেলার কুতুপালংয়ের ক্যাম্প এক্স-৪ এ আজ রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল ৯টায় দিকে এ সমাবেশ শুরু হয়।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটির চেয়ারম্যান মাস্টার মুহিব উল্লাহ, আব্দুর রহিম, মোহাম্মদ ইলিয়াছসহ অন্যান্য নেতারা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে আসা রোহিঙ্গাদের পদচারণায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল। সাদা জামা পরিধান করে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা অংশগ্রহন করে তাতে।
দাবিগুলো হলো-
১. রোহিঙ্গারা আরাকানের স্থানীয় আদিবাসী এবং সে জন্য তাদের ন্যাটিভ স্ট্যাটাস বা স্থানীয় মর্যাদা সংসদে আইন করে পুনর্বহাল করতে হবে যার আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি থাকতে হবে।
২.
প্রথমত, আরাকান রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের ‘সিটিজেন কার্ড’ দিতে হবে।
দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরও সিটিজেনশিপ কার্ড দিয়ে প্রত্যাবাসন করে স্থানীয় নাগরিক মর্যাদা দিতে হবে।
তৃতীয়ত, একই সাথে বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় থাকা রোহিঙ্গাদের সিটিজেনশিপ কার্ড দিয়ে স্থানীয় নাগরিক মর্যাদা দিতে হবে।
৩. রোহিঙ্গাদের তাদের নিজস্ব গ্রামে ফিরিয়ে নিতে হবে এবং তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া জমিজমা যথাযথ ক্ষতিপূরণসহ ফেরত দিতে হবে।
৪. আরাকানে রোহিঙ্গাদের জীবন ও সম্পদ রক্ষার জন্য রোহিঙ্গা পুলিশ বাহিনীর সাথে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
৫. বার্মার স্থানীয় আদালতের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির মতো কোনো ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনালে অপরাধীদের বিচার করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, আজ ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা সঙ্কটের দুই বছর পূর্তি হচ্ছে। গত বছর থেকে তারা ২৫শে অগাস্টকে ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা’ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
২০১৭ সালের এ দিনে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে। এরপর পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন তারা। বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখের বেশী।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.