এ.রশিদ, দিনাজপুরঃ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সা) এর উপর নাজিল হওয়া মুসলমানদের পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যাবস্থার পবিত্র গ্রন্থ হলো কোরআন। প্রত্যেক মুসলমানদের উপর কোরআন শিক্ষা ফরজ। কারন কোরআন শিক্ষা ছাড়া নামাজ এবং ইসলামি জীবন ব্যবস্থা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
নুরুল ইসলাম দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর মৌলভীপাড়া গ্রামের একজন প্রবীণ মানুষ । বয়স ১০০ এর উপরে। সারাজীবন অভাবী সংসারের ঘানি টেনে আজ বড়ই ক্লান্ত। স্বাভাবিক ভাবেই এই বয়সে চলাফেরা সমস্যা চোখে দেখায় সমস্যা ইত্যাদি নিত্যদিনের সঙ্গী । কিন্তু নুরুল আমিন ব্যাতিক্রম এই বয়সেও এক কিলোমিটার দুরের বাজারে প্রায়ই হেঁটে হেঁটে যান বাজার করতে , একমিনিট পর পর তাকে বসতে হয় ৫মিনিটের জন্য ক্লান্ত শরীরটাকে বিশ্রাম দেবার জন্য।
এসবের মধ্যেই নুরুল ইসলাম রোজ ভোর বেলা খালি চোখে তেলাওয়াত করেন পবিত্র কোরআন শরিফ।
৯০ দশকের ছেলেমেয়েদের যেখানে অনার্সের পরই লাগে চশমা, নুরুল ইসলাম ১০০ বছর বয়সেও খালি চোখে তেলাওয়াত করেন পবিত্র কোরআন শরিফ।
তার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জানান, আমি মানুষ ঠিক মতো চিনিনা, নিজের নাতিদেরকেও চিনতে পারিনা একটু দুর থেকে, বাংলা লেখা তো বুঝিইনা। কিন্তু আল্লাহ আমাকে কোরআন পড়ার শক্তি এখনো দিয়েছেন।
স্থানীয় বেশ কয়েকজন তাঁকে ভালো মানের চশমা দিতে চাইলেও তিনি নেননি। নুরুল ইসলামদের মাধ্যেমেই সবার মাঝে বেঁচে থাকুক কোরআন। আবার ফিরে আসুক ভোর বেলা ফোন নয় আলিফ বা বই হাতে মক্তবে যাওয়ার সেই দিন গুলো৷