নিজস্ব প্রতিনিধিঃহবিগঞ্জে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে এএনসি (এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটি)-এর ষান্মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সুরবিতান ললিতকলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রকল্প’-এর আওতায় ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের আর্থিক এবং ক্রিশ্চিয়ান এইড’র কারিগরি সহযোগিতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। হবিগঞ্জ সদর উপজেলা এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা খাতুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোতালিব তালুকদার দুলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় অতিথিবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিলেট ডিভিশনাল এসিস্ট্যান্ট ফ্যাসিলেটেটর মোতাব্বির হোসেন এবং হবিগঞ্জ জেলা এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বানিয়াচং প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমদাদুল হোসেন খান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটির সদস্য ও এটিএন বাংলা’র জেলা প্রতিনিধি আব্দুল হালীম, দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক মঈন উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক এম এ হান্নান, উসমান গণি রুমি, মিজানুর রহমান মিজান, হাজী শাহাদাত হোসেন তুহিন, আজিজুল ইসলাম হৃদয়, আশরাফুল ইসলাম, ঝুমা রবিদাস, বীণা রাণী দাস, নাছিমা আক্তার, সানজিদা আক্তার তারিন, লিজা আক্তার সাংবাদিক শাহেনা আক্তার, শিরিন আক্তার প্রমূখ। সভায় পইল ইউনিয়ন , তেঘরিয়া ও নিজামপুর ইউনিয়নের দলিত রবিদাস জনগোষ্ঠীর কি কি সমস্যা রয়েছে তা চিহ্নিত করে সরকারি কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে এডভোকেসি করে সেসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এলাকায় গিয়ে সমস্যা চিহ্নিত করার লক্ষে মিজানুর রহমান মিজানকে আহবায়ক করে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়। উপকমিটির সদস্যরা হলেন শেখ উসমান গণি রুমি, আজিজুল ইসলাম হৃদয়, মাহমুদা খাতুন, শাহেনা আক্তার ও কাজী তুহিন। তিন ইউনিয়নের দলিত জনগোষ্ঠীর সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের জন্য আগামী ৬ মাস সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়।