ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, রাবিঃ প্রায় প্রতি বছরই ঈদের ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলেও শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে খোলা থাকে হলগুলো। আর এ সময়ে কিছু শিক্ষার্থী নানা কারণে হলে অবস্থান করে থাকেন। এ বছরও একই ভাবে বেশ কিছু শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করছিলেন। গত সোমবার পবিত্র ঈদুল আযহার দিনে হলের কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলে ভেতরে অবস্থান করা কতিপয় নারী শিক্ষার্থীকে হলের ভেতর তালাবদ্ধ করে রাখেন হল প্রশাসন।
১৭ জুন সন্ধ্যায় ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামে ৬৫ হাজারের বেশি সদস্যের একটি ফেসবুক গ্রুপে এক শিক্ষার্থী অভিযোগ তুলে পোস্ট করে এমন হতাশা প্রকাশ করেন।
ফেসবুক পোস্টে ওই শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘ঈদে বাড়ি যাইনি স্বপ্নকে বুকে আঁকড়ে ধরে। তাই বলে হল প্রশাসন এইভাবে শেষটা হতে দিল?’
ছাত্রীরা বলেন, সকাল থেকে সারাদিন হল গেটে তালা। মেয়েরা বাহিরে যেতে পারেনি। খাবার কেনা জরুরি হলেও যেতে পারেনি। কোনো নোটিশ ছাড়াই হল প্রশাসন এটা করেছে। বারবার মেয়েরা গেলেও পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছাড়া কাউকে পাননি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ৮-১০ জন মেয়ে আছেন হলে। হল প্রশাসন তো খোঁজ নিলই না, উল্টা তাদের বানানো নিয়মে ফেলে দিল সবাইকে। প্রক্টরকে কল দেওয়ার পর প্রক্টর বলেছে হলের বিষয়ে তারা দেখবে। প্রাধ্যক্ষকে কল দিলে তিনি রিসিভ করেন নি বলেও জানান তিনি।
প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, এটা হল প্রশাসনের বিষয়। আমায় একটা মেয়ে কল দিয়েছিল। তারপর আমি প্রাধ্যক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারপর সন্ধ্যার পর হলের তালা খোলা হয়।
এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জয়ন্ত রানি বসাক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানতাম না। আমার সাথে প্রক্টরের কথা হয়েছে। আজকে ঈদের দিন হওয়ায় দায়িত্বরতরা হলে ছিল না হয়তো। সাধারণত সব হলই বন্ধ থাকে। গত বছর নিয়ম করা হয়েছিল নিরাপত্তার জন্য গেটে তালা দেওয়া থাকবে। কর্মচারীরা না জেনে আগের বছরের নিয়মটাই ফলো করেছে। আমি জানার পর তালা খুলে দিতে বলেছি।
/বদরুল ইসলাম জামিল