শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, ফুলবাড়ী থানায় মামলা রেকর্ড

বিশ্বনাথ সরকার,স্টাফ রিপোর্টারঃ-
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে । ধর্ষিত স্কুল ছাত্রীকে রবিবার রাতে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ উদ্ধার করে সোমরার বিকালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

মামলা বিবরণী সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ার ছড়ার সমন্বয়টারী গ্রামের বাসিন্দা হোসেন আলী স্ত্রী সহ ঢাকার ইট ভাটায় কাজ করেন। তার নাবালক মেয়ে একই এলাকার সমন্বয় পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করেন।

পিতামাতা বাড়ীতে না থাকায় মেয়েটি পাশ্ববর্তী তালুকদার পাড়া গ্রামে তার নানা মোঃ আবুবক্কর সিদ্দিকের বাড়ীতে থাকেন। গত শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় মেয়েটি বাইসাইকেল যোগে ঔষধ কেনার জন্য পাশ্ববর্তী টনকার মোড় বাজারে যান।

ঔষধ কিনে বাড়ী ফেরার সময় একাকি পেয়ে দাশিয়ার ছড়া রাসমেলা গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে সোহাগ (১৮), একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম অপুর ছেলে ময়নুল ইসলাম (২২) ও মজিদুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান (২৩) মেয়েটির মুখ চেপে ধরে জোড়জবরদস্তি করে রাসমেলা নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষন করে।

কিছুক্ষন পর ওই পথ দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা রাস্তার ধারে বাইসাইকেল পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহপ্রবণ এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজি করলে নদীর ধারে ওই তিনজনকে দেখতে পায়। লোকজনের চিৎকারে ধর্ষকরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে তাদের সনাক্ত করে। পরে ধর্ষিত মেয়েটিকে অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে তার নানার বাড়ীতে পৌঁছে দেয়।

এ ঘটনার পর আপোষ মিমাংসার জন্য স্থানীয় মাতব্বররা রবিবার সারাদিন ওই পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগ করে ব্যর্থ হয়। সোমবার সকালে ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসেন হোসেন আলী ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম। পরে তিনি বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে ফুলবাড়ী থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। মেয়েটির মা ফেরদৌসী বেগম বলেন,তিন নরপশু মিলে আমার মেয়েটার সর্বনাশ করেছে। আমি ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।

এব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামীদের কে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত

মাত্রই প্রকাশিত