স্কুল থেকে ভ্রমণের জন্য একটা বৃদ্ধাশ্রমে গিয়েছিল দিতি নামের এই মেয়েটি। অকল্পিত ভাবে সেইখানে তখন সে তার আপন দাদিকে খুঁজে পায়। দাদিমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে মেয়েটি।
মা বাবাকে সেই ছোট থেকেই দেয়ালে পেরেক দিয়ে আটকানো ধুলো মাখানো ছবিটা দেখে অনেকবার জিজ্ঞেস করেছিল মেয়েটি তার দাদির কথা। উত্তরে মা বাবা জানিয়েছেন তার দাদি অন্য রিলেটিভদের সাথে থাকেন। মেয়েটি অনেক বার বলেছিল দাদিকে দেখবে কিন্তু তার মা বাবা তাকে নিয়ে যায়নি।
স্কুল ট্রিপে এসে মেয়েটি যখন ঘোলাটে চশমায় বারান্দায় হেলান দিয়ে বসে থাকা বৃদ্ধাকে দেখে তার ফ্রেমে আটকানো ছবিটার সাথে মিল খুঁজে পায়। দৌড়ে গিয়ে দাদিমাকে জড়িয়ে ধরে মেয়েটি । দাদিমা তার নাতনির পরিচয় পেয়ে ঘোলাটে চশমাটা খুলে চোখ ঢলতে ঢলতে নাতনিকে বুকে জড়িয়ে নেয়।
বৃদ্ধা বলেন, আমার ছেলের এতো বড় আলিশান ফ্লাটে আমার জায়গা হয়নি। বৌমাও আমাকে সহ্য করতে পারতো না। আমি তো বুড়ি হয়ে গেছি তাইনা!
তিনি তার নাতনীকে বলেন, তোর বাবাকে আমি কত কষ্ট করে মানুষ করেছি, কখনও বিন্দুমাত্র অভাবের আচড় লাগতে দেয়নি। নিজে কষ্টে থেকে তাকে সবসময় ভাল জায়গায় রেখেছি। তাকে বলেছিলাম বড় হয়ে আমাকে ভুলে যাসনে। কিন্তু বুঝতে পারিনি সে এতো বড় হয়ে যাবে।