নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
উলিপুর ” সীরাজ এন্ড সন্স ফিলিং ষ্টেশন ” দীর্ঘ দিন থেকে পরিচালনা করেছেন সীরাজের ছোট্ট ছেলে মোঃ শান্তূ মিয়া । সীরাজের মৃত্যুর পর ছেলে শান্তু সীরাজ এন্ড সন্স ফিলিং স্টেশনে তেল ব্যবসা অব্যাহত ভাবে চালিয়ে আসছে । কিছু দিন পূর্বে জনতা ব্যাংকের টাকা শোধ করতে এগিয়ে গেলে আসল রহস্য উন্মোচন হয়ে যায়। ফাঁস হয় ফিলিং স্টেশনটির আসল রহস্য। মোড় নেয় ঘটনাটি অন্য দিকে। চোরায় চুরি করে অচোরা বন্দীতে পরে এমন অবস্থা ।
মোঃ শান্তু মিয়া দীর্ঘ দিন থেকে ফিলিং স্টেশনটি পরিচালনা করে আসছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। শান্তুর এই তেলের ফিলিং স্টেশনটি নিয়ে জনতা ব্যাংকের সাইনবোর্ড টি টাঙ্গানোর পর পর গোপন রহস্য উন্মোচন হয়। শান্তুর জনতা ব্যাংকে কোন ঋন নেই । এটা নিশ্চিত করে তিনি মত ব্যক্ত করেন ।
শান্তুর মা জননী শান্তুকে সমস্ত জমির অংশ দিয়ে পাম্পটি সম্পূর্ণ ভাবে দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত হন । তিনি কোন দিন কোথাও কোন ব্যাংক থেকে টাকা ঋণ গ্ৰহন করেন নি বলে আমাদের প্রতিবেদককে জানান। দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে শান্তু বলেন আমার কোথাও কোন কাগজে কলমে সহি স্বাক্ষর নেই। অথচ আমি যে ফিলিং স্টেশনটি পরিচালনা করি সেটি উলিপুর উপজেলার প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত। এটি আমার জীবন জীবিকার এক মাত্র সম্বল। বাবা মারা যাওয়ার পর মা আমাকে ছোট্ট ছেলে হিসেবে করে খাওয়ার জন্য এই ফিলিং স্টেশনটি দিয়েছেন এখানে আমি কারো মাতব্বরী সহ্য করব না। কাউকে দোষ দিচ্ছি না তবে আমাকে আমি নিজ কপালের উপর দোষ দিচ্ছি।
আমার ফিলিং স্টেশন সীরাজ এন্ড সন্স আমি পরিচালনা করব অন্য কেউ বন্ধক বা এটিকে জিম্মি করে ফল ভোগ করবে আমি এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে চাই। পাওনা টাকা শোধ করতে রাজি আছি। তবে আমার ফিলিং স্টেশনে যে কেউ আগ্ৰাসী মনোভাব যাতে করতে না পারে , আমি যাতে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে না পড়ি এ মর্মে আমাকে নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। তিনি (শান্তু) বক্তব্যে আরও বলেন প্রয়োজনে আমি ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করব । শর্ত একটাই বার বার যেন টাকা পয়সার ঝুট ঝামেলা এখানে না আসে। এ ঘটনায় পারিবারিক ভাবে তদন্ত করা হলে শান্তু উলিপুর ফিলিং স্টেশনের দায়িত্বে আছে, স্থানীয় লোকজন জানান ছোট্ট ছেলে শান্তুকে বহু দিন আগে তেলের পাম্প দেয়া হয়েছে বলে জানি এ পাম্পের সব দায়িত্ব বুঝে নিয়ে বর্তমান পর্যন্ত চলছে শান্তুর নেতৃত্বে বলে তেলের পাম্প এলাকার অগণিত মানুষ জানিয়েছেন।
আমি সবার ছোট্ট , ভাগ বাটোয়ারার কিছুই বুঝি না। কাগজ পত্র, দলিল, জমির দাগ খতিয়ান আমি এখন ও এগুলো সম্পর্কে কোন কিছু বুঝি উঠতে পারি না। আমার মা জননী বেঁচে আছে জিজ্ঞেস করলেই সব উত্তর মিলবে বলে আমার বিশ্বাস। কে বা কারা ঋণ গ্ৰহন করে আর আমি সমস্যায় পড়ব এ জাতীয় সমস্যা থেকে আমি নিস্তার চাই। মূলতঃ সরেজমিন তদন্তে জানা গেছে আপন দু’ ভাই শিবলী ও শান্তুর মধ্যে এ ঘটনা বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানিয়েছেন । সন্দেহের তীর শিবলীর উপর বেশী বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।এ ঘটনায় জনতা ব্যাংক উলিপুর শাখার কোন স্পষ্টতা পাওয়া যায় নি।” সীরাজ এন্ড সন্স ফিলিং স্টেশনটি ” কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার কে সি রোডের পশ্চিম এলাকা সংলগ্ন উত্তর মাথা হায়াৎ খাঁ এলাকায় অবস্থিত।