শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

সিরাজগঞ্জে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

আরাফাত /সিরাজগঞ্জ:
ঠান্ডা নিবারণে পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে মানুষেরা। সিরাজগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় লেপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন লেপ-তোশক তৈরির কারিগররা। দোকানগুলোতে দেখা যায়, মালিক-শ্রমিক লেপ-তোশক সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর শীতের শুরুতেই ক্রেতারা দোকানে পছন্দমতো লেপ-তোশক তৈরির অর্ডার দিয়ে রেখেছেন।

অন্যদিকে, জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে রিকশা-ভ্যানে লেপ-তোষক বিক্রেতাদের কানফাটা চিৎকার, ‘মা-বোনেরা ন্যাপ-তোষক নিবেন নাহি।’

প্রতিটি ৪-৫ হাত লেপ ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা, তোষক ১২০০ থেকে ১৫০০ এবং জাজিম ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার পর্যন্ত খুচরা বিক্রি করা হয় বলে জানান দোকানিরা।তারা আরো বলেন, বর্তমানে প্রতি কেজি কালো ব্লেজার তুলার দাম ৩৫-৪০ টাকা, কালারিং তুলা ৪০-৫০ টাকা, শিমুল তুলা ৩০০-৪০০ টাকা, সাদা তুলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও কাপাশ তুলা ২০০-২৫০ টাকা করে বিক্রি হয়। লেপ-তোষকের দোকানে আসা , ঠান্ডা আসছে, তাই পুরাতন লেপের কাপড় বদলিয়ে নিচ্চে।

লেপ তোষক তৈরি করে যে মজুরি পান তা দিয়ে তাদের ছেলেমেয়ে পড়াশোনাসহ সংসারের অন্যান্য খরচ চালান। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় তামাদের দুর্বিসহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলেও জানান কারিগরেরা।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হতদরিদ্র মানুষের গায়েই সবার আগে কামড় বসায় শীত। তাই আগেভাগে তারা শীতবস্ত্র কিনতে চলে আসেন। শহরের মৌসুমি মার্কেট, খলিফাপট্টি, কামারখন্দের জামতৈল বাজার, কাজিপুরে সোনামুখি বাজার, উল্লাপাড়া, বেলকুচি শাহজাদপুর, রায়গঞ্জ ও তাড়াশে বিভিন্ন বাজারে লেপ-তোষক সেলাইয়ের কাজ চলছে দিনভর। বেলকুচির মোকন্দগাতি অতীতে লেপ-তোষকের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও একটি লেপ বিক্রি হয় দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা।

তাড়াশ, রায়গঞ্জসহ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভ্যানে করে নিয়ে বিভিন্ন সাইজের লেপ-তোষক বিক্রি শুরু হয়েছে। বিক্রি ভালো হয় বলে জানান বিক্রেতা এন্তাজ আলী

সম্পর্কিত

মাত্রই প্রকাশিত