সোমবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সোমবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রত্যাহারের দাবিতে বেরোবি শিক্ষক সমিতির মৌনমিছিল

বেরোবিতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রত্যাহারের দাবিতে বেরোবি শিক্ষক সমিতির মৌনমিছিল।

বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতা থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রত্যাহারের দাবিতে মৌনমিছিল ও কালো ব্যাজ ধারণ করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর থেকে সমিতির শিক্ষকরা এই মৌনমিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধাব প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে এসে শেষ হয়।

পরে বেরোবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকী এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান মন্ডল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করার সমালোচনা করে বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদানকৃতদের যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা বৈষম্যমূলক। এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।

এ সময় শিক্ষকরা এ ব্যবস্থা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষাদর্শনের চেতনাকে অবজ্ঞা করছে দাবি করে বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়সহ গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে শিক্ষা ও গবেষণাকে মজাদার আসনে অধিষ্ঠিত করার পাশাপাশি, শিক্ষকদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন স্কিমের এই প্রজ্ঞাপন বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শনের প্রতি চরম অবমাননাকর বলে বেরোবি শিক্ষক সমিতি মনে করছে।

বক্তারা আরও বলেন, সর্বজনীন ‘প্রত্যয়’ স্কিমটি নামে সর্বজনীন হলেও আদতে সর্বজনীন নয়। সরকারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান: সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্র এবং বিচার বিভাগকে এ প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত না করে, একে সর্বজনীন বলার সুযোগ নেই বলেও জানান তাঁরা।

এ সময় সেখানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি আসিফ আল মতিন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হারুন-আল রশীদ, যুগ্ম-সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন পাটোয়ারী, কার্যকরী সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. শরিফুল ইসলাম প্রমুখসহ সাধারণ শিক্ষকদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল ২০২৩’ পাস হয়। দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে এ বিলটি পাস করা হয়।

পরে চলতি বছরের ২০ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশের সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা ও তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী চলতি বছরের ১ জুলাই ও তার পরে নতুন যোগদান করবেন, তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের অন্তর্ভুক্ত করবে সরকার। এরপর থেকেই সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ স্কিমটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন।

উবস/আরএ

সম্পর্কিত