আদুরী আক্তার, পেস চেঞ্জ এজেন্ট, রেডিও চিলমারি:
ইন্টারনেট সংযোগ বা ডিজিটাল ব্যবহৃত যেকোনো সিস্টেম, যেমন—হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ডাটা ইত্যাদিকে সাইবার ঝুঁকি থেকে নিরাপত্তা দেওয়াই হচ্ছে সাইবার নিরাপত্তা।
সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সবচেয়ে ভুক্তভোগীর বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। ৮০ শতাংশ ভুক্তভোগী আইনের আশ্রয় নেয় না আইনি সেবায় সন্তোষ না থাকার কারণে। সাইবার সহিংসতায় বেশিরভাগ সময় নারীরা ভুক্তভোগী হয় প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতনতার অভাব ও অপরাধ প্রমাণের জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ না থাকার কারণে। এর ফলে মুক্তি পেয়ে যায় অনেক অপরাধী। সাইবার দুনিয়া একটি মুক্ত জায়গা, এখানে নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই দিতে হবে।পিছিয়ে তবে এক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে আছেন৷ সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতায় যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ না করাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ সরকারি পর্যায়ে কিছু উদ্যোগ চোখে পড়লেও বেশিরভাগ নারী ও মেয়েরা এই উদ্যোগের বাইরে থাকছেন৷
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজন নারী শিক্ষার্থী জানান, ‘ বর্তমানে দেশের মেয়েরা অনেকক্ষেত্রেই এগিয়ে, বিভিন্ন পেশাগত দ্বায়িত্বে ভালো করছে। মেয়েদের জন্য সাইবার নিরাপত্তাও একটি সামাজিক ট্যাবু, কারণ মেয়েরা ছেলেদের মতোন সমান তালে এখনও সব জায়গায় বিচরণ করেছে না৷ এটার পিছনে সামাজিক এবং পারিবারিক অনেক বিষয় দ্বায়ী। সাইবার নিরাপত্তার জন্য একদম পারিবারিক এবং সামাজিক ভাবে কাজ করা দরকার। যাতে, একটি মেয়ে সাইবার বুলিং এর শিকার সবার সাথে সাথেই পারিবারিক ভাবে সেটার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এতে করে গার্ডিয়ানরাও সচেতন হবে এবং গ্রাম-গঞ্জ থেকে সবাই ক্রমশ সচেতন হবে’।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের নারী শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, আমরা সবাই এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করি, ইন্টারনেট এখন সবার হাতে হাতে৷ কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার না৷ জানায় অনেক মেয়ে আত্নহত্যার মতো পরিস্থিতির স্বীকার হচ্ছে৷ এজন্য পুরুষদের পাশাপাশি নারী ও মেয়েদের সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতায় বিশেষ উদ্যোগ নেয়া দরকার৷ কেননা, এক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে আছে৷
সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখতে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ে সচেতনতা, কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন, ডিজিটাল ও নীতি অবকাঠামো তৈরির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আন্তঃসীমানা সহযোগিতা- এই চারটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সাইবার স্পেসে সংঘটিত নারীর প্রতি হয়রানিমূলক অপরাধসমুহের অভিযোগ গ্রহণ, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘Police cyber support for women’ নামক ফেসবুক পেজ, ইমেইল নম্বর, ও হটলাইন চালু করেছে। ইমেইল ঠিকানা হচ্ছে- cybersupport.women@police.gov.bd। হটলাইন মোবাইল নম্বর: ০১৩২০০০০৮৮৮।