ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, নওগাঁ প্রতিনিধি:
এবার নওগাঁয় সাংবাদিকের বাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়েছে। চোরের দলেরা বিদেশী ও কোস্টার প্রজাতির মোট ৩৪ টি কবুতর চুরি করে। একই রাতে অপর একটি বাড়িতেও একই কায়দায় কবুতর চুরি করে। এ বিষয়ে কবুতরের মালিক বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
গৃহকর্তা কবুতরের মালিক ও দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিনের ধামইরহাট উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, ২৯ মার্চ সকালে হাসপাতাল চত্বরে তার বাসার পার্শ্বে কবুতরের ঘর খোলা দেখে। এ সময় কবুতর থাকার ঘরে ঢুকে দেখেন যে, সিরাজি,স্টেচার, যেকোবিন, গিরিবাজ, মলটেচম ককা নামক বিদেশী প্রজাতির ৯ জোড়া কোস্টার প্রজাতির ৮ জোড়া কবুর নেই, যার মুল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
তাৎক্ষনিক ভাবে থানায় খবর দিলে এ.এস,আই মেহেরুল্লাহ ও সঙ্গীয় ফোর্স সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলে দেখা যায় যে, উপজেলার আব্দুল লতিফ মেকারের ছেলে বাবু (৩০) ওই সাংবাদিকের বাড়ির প্রধান কেচিগেটে জি.আই তার দিয়ে বন্ধ করে দেয়, যাতে ঘর থেকে কেউ বের হতে না পারে এবং কবুতর ঘর থেকে একে একে প্রায় ৩৫/৪০ টি কবুতর বের করে কাউকে দিচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে তাৎক্ষনিক বাবুর বাসায় অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাবু পালিয়ে যায় এবং অপর চোর দক্ষিণ চকযদু গ্রামের মৃত ইউনুছ মহুরির ছেলে মাদরাসার লাইব্রেরীয়ান ছানাউল ইসলামের বাড়ি থেকে ৬ জোড়া কবুতর উদ্ধার করে এবং ছানাউলকে চকমহেশ গ্রাম থেকে অভিযান চালিয়ে আটক করে পুলিশ।
অপরদিকে একই রাতে পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী মনার বাড়ির কেচি গেট কেটে ৪টি কবুতর চুরি করলেও পুলিশ তা উদ্ধার করে।
ধামইরহাট থানার ওসি শামীম হাসান সরদার বলেন, চুরির ঘটনায় তাৎক্ষনিক ভাবে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিছু কবুতর চোরের সহযোগিকে আটক করা হয়েছে। প্রধান আসামীসহ অন্যদের আটক করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
এলাকাবাসীরা অভিযোগে জানায়, আটককৃত ছানাউল ও পলাতক বাবু তার বাড়িতে প্রতি রাতে গোপনে মাদকের আড্ডাখানা তৈরি করে, তাকে গ্রেফতারে এলাকাবাসী স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।