রবিবার, ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
রবিবার, ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌচাষিরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ মোঃ গোলাম মোরশেদ:পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়ন বোটঘড় মাঠজুড়ে এখন সরিষা ফুলের হলুদ রঙের সমারোহ। মাঠের পর মাঠে হলুদ রঙে ভরে গেছে শীতকালীন সোনার শস্য সরিষার খেত। ফুলে ফুলে ভরাখেত দেখে দৃষ্টিনন্দন প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সরিষা খেতের পাশে ১০০ মৌ চাষের বাক্স স্থাপন করেছেন মোঃ হাবিবুল্লাহ মিজান। গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাহপুর উপজেলা থেকে তিনি এসেছেন মধু সংগ্রহের জন্য। এই বাক্স থেকে প্রতি ১৫ দিনে ৩ থেকে ৫ মণ মধু সংগ্রহ করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
মৌচাষি মোঃ হাবিবুল্লাহ মিজান বলেন, আমার এখানে ১০০টি মৌমাছির বাক্সের মাধ্যমে মধু সংগ্রহের কাজ চলছে। গত কয়েক দিন আগে তীব্র শীতের থাকার কারণে মৌমাছি ঠিকমতো মধু সংগ্রহ করতে পারেনি, অনেক মৌমাছি ঠান্ডার জন্য মারাও গেছে।
কুসুম্বা ইউনিয়নে ইউপি সদস্য জনাব, মোঃ শাহানুর ইসলাম স্বপন বলেন, এবার আমি ৩ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। বিঘা প্রতি ৮ থেকে ৯ মণ সরিষা ঘরে তুলবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। তবে বৈরি আবহাওয়া থাকার সরিষার ফলন একটু খারাপ হয়েছে। আমার সরিষার খেতের পাশে কৃত্রিম উপায়ে চলছে মধু সংগ্রহের কাজ। পাঁচবিবি উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও কুসুম্বা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ,মোঃ জিহাদ হোসেন মন্ডল জানান, ইউনিয়ানের গ্রামে গ্রামে এবারে সরিষার চাষ বেড়েছে। সরিষার জমির পাশেই মৌ চাষের বাক্স বসিয়েছেন মৌচাষিরা। মৌমাছি সরিষার ফুলে উড়ে উড়ে বসে মধু সংগ্রহ করে। এতে সরিষা ফুলে সহজে পরাগায়ন ঘটে। তাই সরিষা খেতের পাশে মৌ চাষের বাক্স স্থাপন করলে সরিষার ফলন অন্তত ২০ শতাংশ বাড়ে। পাশাপাশি মৌচাষিরা মধু বিক্রয় করে লাভবান হবে।

সম্পর্কিত