শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

শ্রীলঙ্কায় কার রেইস প্রতিযোগিতায় ভীড়ের মধ্যে উঠে গেল কার, নিহত ৭

বিশ্ব ডেস্ক : শ্রীলঙ্কায় এক কার রেইস প্রতিযোগিতায় ভীড়ের মধ্যে রেইসিং কার উঠে সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও এ ঘটনায় আরও ২১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) রাজধানী কলম্বো থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরের দিওয়াতাওয়ালা শহরের ফক্স হিল সার্কিটে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

দেশটির সেনাবাহিনী কর্তৃক আয়োজিত ‘দ্য ফক্স হিল সুপারক্রস রেইস’ বলে খ্যাত এই প্রতিযোগিতা দেখতে বালুময় ট্র্যাকের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন হাজার হাজার দর্শক। সঙ্গে ছিলেন রেইসটির আয়োজক কর্মকর্তারাও। তবে ট্র্যাকটির পাশে কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল না বলে জানা যায়।

প্রতিযোগিতাটি চলাকালে হঠাৎ করে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই ভীড়ের ওপর আছড়ে পড়লে সাতজনের প্রাণহানি ঘটে। নিহদের মধ্যে রয়েছেন চারজন রেইস আয়োজক কর্মকর্তা এবং তিনজন সাধারণ দর্শক।

ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার ভিডিওটি ধরা পড়েছে এক দর্শকের ক্যামেরায়। এতে দেখা যাচ্ছে, ট্র্যাকের ওপর উল্টে পড়ে আছে একটি গাড়ি। তখন ট্র্যাক মার্শাল একটি হলুদ পতাকা উড়িয়ে অন্যান্য গাড়ির চালকদের ধীরগতিতে যাওয়ার জন্য সতর্ক করছিলেন। কিন্তু ওই সময় গাড়িগুলো প্রচণ্ড গতি নিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক তখনই লাল রঙের অপর একটি গাড়ি উল্টানো গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দর্শকদের ওপর আছড়ে পড়ে। এরপর শুরু হয় মানুষের আর্তনাদ।

এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, দুর্ঘটনার পর সব মিলিয়ে ২৭ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা যান এবং বাকিরা হাসপাতালে মারা যান। নিহতদের মধ্যে আট বছরের এক কন্যাশিশুও রয়েছে বলে জানা গেছে। আহতরাও গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।

এর আগে এ রেইস প্রতিযোগিতা শুরুর কিছু সময় আগে শ্রীলঙ্কার সেনাপ্রধান ভিকুম লিয়াঙ্গে জানান, মোটরস্পোর্টসকে জনপ্রিয় করতে বিনামূল্যে দর্শকদের ফক্স হিল সার্কিটে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি এই প্রতিযোগিতা দেখতে ১ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছেন বলে দাবি করেন।

এ দিকে ট্র্যাকের পাশে কেন কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল না, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন নানান শ্রেণির মানুষ।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সাল থেকে শ্রীলঙ্কা অটোমোবাইল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। কিন্তু করোনা মহামারী এবং তার পরবর্তী সময়ে দেশে চরম অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেওয়ায় গত পাঁচ বছর এ প্রতিযোগিতার আর আয়োজিত হয়নি। চলতি বছরেই আবার এটির আয়োজন করা হয়। আর এবারই সেখানে ঘটলো ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা।

সম্পর্কিত

মাত্রই প্রকাশিত