মার্চ ২৫, ২০২৩ ১১:৫৩ বিকাল



রৌমারীতে ৮৮জন বিদেশ ফেরত প্রবাসীর খোঁজে স্বাস্থ্য কর্মীগণ

 

শাহ মোঃঅাঃমোমেন,রৌমারী (কুড়িগ্রাম)ঃ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ৮৮ জন বিদেশ ফেরত যাত্রীর তালিকা নিয়ে মাঠে নেমেছে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
প্রবাসী যাদের স্বউদ্যোগে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা থাকলেও তারা সে নির্দেশ মানছেন না। বরং করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা নিয়েই তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

গত ১ফেরুয়ারী হতে ২৮ মার্চ পর্যন্ত এরা বিদেশ থেকে এসেছেন যাদের বেশিরভাগই ভারত থেকে দেশে এসেছেন। ইমিগ্রেশনের কাজ সেরে তারা চলে গেছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। এসব বিদেশ ফেরত লোকদের খুঁজে খুঁজে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।

রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও ওঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃমোমেনুল ইসলাম জানান, ইমিগ্রেশন পুলিশের তরফ হতে কুড়িগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিকট থেকে এ তালিকা সরবরাহ করা হয়েছে। এদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনা রয়েছে। ৮৮জনের মধ্যে ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে
থাকার পর ৭৩ জনকে অবমুক্ত করা হয়েছে।অদ্যাবদি ১৫জন হোম কোয়ান্টাম রয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষায় এদের মধ্যে একজনও অাক্রান্ত পাওয়া যায়নি।তিনি জানান, রৌমারীতে
অাইলোসেশন রেডি অাছে, তবে মাস্ক,হ্যান্ডগ্লোভস,হ্যাক্সিসল,
ডাক্তার,নার্স সংকট রয়েছে। ডাক্তারদের সুরক্ষার (পারসোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট) পিপিই ব্যবস্থা নেই।দ্রুত ব্যবস্থা করা দরকার।

অন্যদিকে, রৌমারী এলসিপোর্টে পণ্য অামদানী রপ্তানি বন্ধ। তবে বাংলাদেশের নাগরিক ভারতে থাকলে বাংলাদেশে ফেরত অাসতে পারবে, ভারতের নাগরিক বাংলাদেশে থাকলে ভারতে ফেরত যেতে পারবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃঅাল ইমরান জানান, এখন পর্যন্ত ১৫ জন বিদেশ ফেরতকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে । তবে করোনা নিয়ে আতঙ্ক না ছড়িয়ে যার যার অবস্থান হতে সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন,তালিকা ধরে এসব বিদেশ ফেরতদের খুঁজে বের করা কঠিন। অনেকের ঠিকানা মিলছেনা। এরপরেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন মহলের সহযোগিতা নিয়ে খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য মাইকিং ও লিফলেট বিতরন করা হচ্ছে। জনসমাগম হয় এমনকর্মসূচি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাটবাজারে ক্রয়-বিক্রয় সীমিত করে দেওয়া হয়েছে।

রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শেখঅাব্দুল্লাহ জানান,করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও প্রাদুর্ভাভজনিত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পযর্ন্ত সকল মুদি দোকান, কাঁচামালের দোকান, ঔষধের দোকান ব্যতীত অন্য সকল দোকান বন্ধ থাকবে। এছাড়াও সাপ্তাহিক হাট-বাজারের কার্যক্রম সীমিত থাকবে।জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে আমরা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেষ্ট থাকবো।তিনি সবাইকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

 



Comments are closed.

      আরও নিউজ