মঙ্গলবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১লা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
মঙ্গলবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১লা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

রৌমারীতে হাট-বাজার দখলমুক্ত করতে তদন্তে ইউএনও

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃকুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় প্রতিবছর ইজারার মাধ্যমে সরকারকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করে আসছে রৌমারী হাট-বাজার। ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল ২০১১এর সরকারি হাট-বাজার সমূহের ব্যবস্থাপনা, ইজারা পদ্ধতি এবং উহা হতে প্রাপ্ত আয় বণ্টন নীতিমালা মেনে সোহেব আহমেদ ইজারাদাতা রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ইমান আলীর স্বাক্ষরিত একবছর মেয়াদী চুক্তিপত্রে ইজাদারিত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে চুক্তিনামায় হাট-বাজারে উল্লেখিত জায়গার পরিমাণ কম দেখিয়ে ওই ইজারাদার আদালতের শরণাপন্ন হোন। সোমবার বিকেলে আদালতের নির্দেশনায় উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে হাট-বাজার মাপ জোক ও পরিদর্শন করেন রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান।

ইজারাদার সোহেব আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, উভয় পক্ষের স্বাক্ষরিত চুক্তিনামায় ২১নং জেএল রৌমারী মৌজায় উল্লেখিত হাট-বাজারে মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬.৯৯০০একর দেখিয়ে আমাকে ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের কাছে কয়েকবার বাজার মাপজোক করে বুঝিয়ে চাইলে তারা দেয়নি। তাই আমি নিজেই জায়গা মাপজোক করে মাঠপর্যায়ে দেখি ২একর জায়গাও অবশিষ্ট নেই। তাই আমার অসাধ্যকর এই ক্ষতিতে ইজারাদাতাদের কাছে সত্বর সঠিক সমাধানের অনুরোধ করছি।

মহামান্য আদালতে ইজারাদারের যৌক্তিক আবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, সরেজমিন তদন্ত করে দেখলাম অবৈধ দখলদারিত্ব বাদে বর্তমানে মাত্র ২.৬একর সম্পত্তি রৌমারী হাট-বাজারে অবশিষ্ট রয়েছে। বাকি জায়গা গুলো অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে অনেকেই। তাই চুক্তিপত্রে উল্লেখিত জায়গা দখল মুক্ত করতে অতি সত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ হিল জামান, রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, রৌমারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সাহাদত হোসেন, রৌমারী বণিক সমিতির সভাপতি প্রদীপ কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক কদম আলী, উপজেলার সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম রানা, হাট ইজারাদার সোহেব আহমেদ সোহাগ, রৌমারী উপজেলায় নিয়োগকৃত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সম্পর্কিত