জুন ৭, ২০২৩ ১:২৪ সকাল



রৌমারীতে রোকেয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে রোকেয়া দিবস উদযাপন

 

এস,এম,এ মোমেন,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) : আজ ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবস। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার ১৩৯ তম জন্ম এবং ৮৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রতি বছর এ দিন সারাদেশে সরকারিভাবে রোকেয়া দিবস হিসাবে পালন করা হয়।

৯ ডিসেম্বর বেলা দশটায় দাঁতভাঙ্গা স্কুল এণ্ড কলেজ গেট হতে বের হয় রোকেয়া দিবসের র‍্যালী। বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে তা এসে থামে ঐ বিদ্যাপীঠের হলরুমে। শুরু হয় বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জীবন ও সংগ্রাম ভিত্তিক আলোচনা। অতঃপর কুইজ প্রতিযোগিতার ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণ। অায়োজনে রোকেয়া স্মৃতি পাঠাগার, দাঁতভাঙ্গা, রৌমারি, কুড়িগ্রাম। জ্ঞান বিকাশের এ ব্যতিক্রম আয়োজনটি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্দিপনা সৃষ্টি করেছে।উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন-অাফছানুজ্জামান মনির
অালোচনা করেন -রৌমারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান
মোজাফফর হোসেন, বদিউজ্জামান,মহীউদ্দীন আহমেদ, মোজাম্মেল হক, এম জি শহীদ, সোলাইমান হক, আব্দুল খালেক, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা সভাটি সঞ্চালন করেন- ইব্রাহিম খলিল সরকার।

তিনটি গ্রেডে ৪৭ জন শিক্ষার্থীকে কুইজ পপ্রতিযোগীতায় পুরস্কার দেওয়া হয়। ১ম গ্রেডে যৌথভাবে ফার্স্ট ২ জন, সেকেণ্ড ২ জন, থার্ড ২ জন মিলে মোট ৬ জন, ২য় গ্রেডে ৮ জন এবং ৩য় গ্রেডে ৩৩ জন।যৌথভাবে ফার্স্ট-আফিয়া আলম আশা৬ষ্ঠ শ্রেণী রোল নং ০১দাঁতভাঙ্গা দ্বিমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং সুবর্ণা পারভীন১০ম শ্রেণী রোল নং ০৮দাঁতভাঙ্গা স্কুল এণ্ড কলেজ।

উল্লেখ্য যে, বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও তিনি নারী জাগরণের অগ্রদূতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তিনি উনবিংশ শতাব্দীর একজন খ্যাতিমান বাঙালী সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বেগম রোকেয়ার উল্লেখযোগ্য রচনাগুলো হলো- পিপাসা (১৯০২), মতিচূর (১৯০৪), সুলতানার স্বপ্ন (১৯০৮), সওগাত (১৯১৮), পদ্মরাগ (১৯২৪) ও অবরোধবাসিনী (১৯৩১)।
এসএম/অার



Comments are closed.

      আরও নিউজ