রবিবার, ২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
রবিবার, ২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

রৌমারীতে রাস্তা নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ -আহত ২

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে রাস্তা দিয়ে চলাচলের বিরোধের জেরে দুইজন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নটান পাড়া গ্রামে। ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার বিকালের দিকে নিজ নামীয় জায়গা প্রতিপক্ষ অবৈধ ভাবে দখল করার চেষ্টা করলে বাধা দিলে গেলে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ঘটনা স্থলে দুইজন ওলী উল্লাহ সোহাগ (২৯) ও তার ছোট ভাই আমানউলাহ সামি (২১) গুরুত আহতন হন। জানা গেছে, রাস্তা দিয়ে চলাচলের পুর্ব বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষ ঘটে। সোমবার ২৪ জুন সাংবাদিকের কাছে অভিযোগ করে এসব তথ্য জানান
বাদি হামলার শিকার ওলী উল্লাহ।

স্থানীয় ও অভিযোগ সুত্রে যানা গেছে, শহিদুর রহমান একজন সাবেক সংরক্ষিত পুলিশ পরিদর্শক। তিনি উপজেলার তুরা রোডের সাথে ৪১ শতাংশ জমি ক্রয় করে ১১০ হাত টিনের ঘর তৈরী করে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছেন। প্রতিপক্ষদের জায়গা জমি না থাকার ফলে শহিদুর রহমানের অবর্তমানের সুযোগ নিয়ে তারা তুরা রোডের খাস জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে সেখানে ঘর বাড়ি স্থাপন করে শহিদুর রহমানের চলাচলের জায়গা বন্ধ করেন এবং বসতবাড়ীতে চলাচলের রাস্তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে চলে দীর্ঘদিন থেকে ঝগড়া বিবাদ। প্রতিপক্ষরা তুরা রোডের খাস জমিতে থাকেন এবং বাদির জমিতে বাথরুম ও গোসলের পানি ছাড়ার কারনে দুর্গন্ধে বসতবাড়িতে বাস করার অনুপযোগী হয়ে উঠেন। তারা সর্বদা বাদি পক্ষর ক্ষতিসাধন করার কাজে লিপ্ত থাকে।

প্রতিবেশীরা এক সময় রাস্তায় টিনের ছাপড়া দিয়ে বসবাস করত, তুরা রোড সম্প্রসারিত হওয়ায় শহিদুর রহমান অবর্তমানে তারা সুপারীর গাছ কেটে নতুন করে টিনের ঘর স্থাপন করেন। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান,মেম্বার বরাবর কয়েকবার অভিযোগ করার পরেও কোনো প্রতিকার পাননি। পরে এব্যাপারে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় যা তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। হামলার ঘটনায় আহত ওলী উলাহ ও আমানউলাহ সামিকে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।

বিবাদী পলাতক থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
হামলার শিকার ওলী উল্লাহ বলেন, বিনা কারনে আমাদের উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। মোঃ লাল মিয়া এবং খোকা মিয়ার হুকুমে লাল মিয়ার ছোট ছেলে লিটন মিয়া ও বিপ্লব আহমেদ উভয়ের হাতে থাকা লোহার দা এবং ছুরি দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে এবং আমার মাথায় জোরে আঘাত করে ফলে আমি সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ি। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

এ বিষয়ে রৌমারী থানা তদন্ত কর্মকর্তা মুশাহেদ জানান, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে কিছু আসামী কোটে জামিন পেয়েছেন। বাকি দুই জন আসামী পলাতক। তাদের সন্ধান পেতে আমাদের চেষ্টা অববাহত রয়েছে। মামলার সার্বিক বিষয়ে তদন্তধীন অবস্থায় আছে।

সম্পর্কিত