জুন ৯, ২০২৩ ১১:০৭ বিকাল



রৌমারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালন

এস,এম,এ মোমেন,রৌমারী (কুড়িগ্রাম): আজ ১৪ ডিসেম্বর

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান ১,১১১জন বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

এদিকে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

এদিবসটি উপলক্ষে জাতীয় ভাবে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় রৌমারী উপজেলা প্রশাসনের অায়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্বিজিবী দিবস পালন করা হয়েছে। দিনের কর্মসুচীর মধ্যে ছিল শহীদদের অাত্নার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও অালোচনা সভা।সকাল ১১টায় রৌমারী উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অাল ইমরানের সভাপতিত্বে অালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় প্রধানঅতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় প্রতিমন্ত্রী মো:জাকির হোসেন এমপি, অন্যান্যদের মধ্যে-উপস্হিত থেকে বক্তব্য রাখেন-উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ অাব্দুল্লাহ্, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( রৌমারী সার্কেল)এস,এম মাহফুজুর রহমান,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলওয়ার হাসান ইনাম, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা অাব্দুর কাদের,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণকমিটির সভাপতি খন্দকার শামসুল অালম, সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ লাল,
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন,মাহমুদা অাক্তার স্মৃতি, অা’লীগ রৌমারী উপজেলা শাখার সা:সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিনু,সদর ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম শালু,শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান,ডা: মোমেনুল ইসলাম,রৌমারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলাম জীবন, রৌমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা অাক্তার,
সাংবাদিক মতিয়ার রহমান চিশতি, রৌমারী প্রেসক্লাব সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা,
যুবলীগের সভাপতি হারুনর রশিদসহ প্রমুখ।এ সময় বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিক,জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের জনগণ উপস্হিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে,একাত্তরে ত্রিশ লাখ শহীদের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যার ঘটনা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। তারা শহীদ হন এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আল-বদর বাহিনী আরও অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্থাপিত আল-বদর ঘাঁটিতে নির্যাতনের পর রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর কবরস্থানে নিয়ে হত্যা করে।কিন্তু মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তাঁঁরা শেষ হয়ে যান নি। তাঁরা বার বার ফিরে আসেন বাঙালি জাতির চেতনার দুয়ারে।



Comments are closed.

      আরও নিউজ