এস,এম,এ মোমেন,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় রুটা ভাইরাস ও প্রচন্ড ঠান্ডায় গত ১ তারিখ থেকে ২৫তারিখ পর্যন্ত ২শতাধিক শিশু ও বয়স্ক মানুষ ডায়রিয়া এবং ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে শিশু বাচ্চার সংখ্যাই বেশি। ওই হাসপাতালে ঘুরে দেখা যায় বেডের সংখ্যা কম হওয়ায় হাসপাতালের বারান্দায় রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে হঠাৎ করে আকষ্মিক রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাদের সেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন নার্স ও চিকিৎসকরা। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে আবহাওয়া পরিবর্তন, রুটা ভাইরাস ও খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, মহামারি আকার ধারন করার মতো পরিস্থিতি নেই।তবে গত এক সাপ্তাহের মধ্যে একজন শিশু মৃত্যুবরণ করেছে তা দু:খজনক, অামরা সব ধরনের চেষ্টা করেছি।
অদ্য রবিবার রৌমারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উপজেলার বাগুয়ারচর গ্রামের রুহুল অামিনের স্ত্রী রানা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, তার দুই জমজম সন্তান হাসাইন ও হোসাইন (১১মাস)শক্রবার রাত থেকে হঠাৎ বমি আর পাতলা পায়খানা শুরু হয়। আমি শনিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। অন্যদিকে খন্জমারা গ্রামের অাল সাফি’র (২১মাস) মা রাশেদা বলেন, রাতে খেয়ে ঘুমানোর পর হঠাৎ পেট ব্যথার সঙ্গে বমি আর পাতলা পায়খানা শুরু হলে অাজ সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একই কথা বলেন, উপজেলা খন্জমারা গ্রামের সাহাদত, মহিলা কলেজ পাড়ার অাক্তারুনাহার, ওখরাকান্দার সাধনা(১১)মা জরাসা বেগম,চরটাপুরচরের ইস্রাফিলের(১বৎসর) মা মিতুবেগম, কলাবাড়ী গ্রামের সামিরা’র (১৮মাস)মাতা নুরবেগম।
এব্যাপারে রৌমারী সরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত অাবাসিক চিকিৎসক ডা: মো:নাজমুল হুদা বলেন, গত ১সপ্তাহে ও আজ রবিবার এ পর্যন্ত শতাধিক ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট জনিত কারনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং রোগী এখনো আসছে।অাজকেও অনেক শিশু ভর্তি হয়েছে।আশা করা যায় শীত ও ঠান্ডা কমে গেলে এসব রোগীর সংখ্যা কমে যাবে।
এ বিষয় রৌমারী হাসপাতালের দায়িত্বরত প.প.কর্মকর্তা ডা: মোমেনুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে যারা ভর্তি আছেন তাদের শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক, পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।