রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারী বাজারে পানের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে এঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, উপজেলার পশ্চিম ইছাকুড়িগ্রামের সিরাজুলের ছেলে ফুল মিয়া একই গ্রামের মৃত এন্তাজ আলী মেম্বারের ছেলে আসরাফুল ইসলাম মন্ডলের রৌমারী বাজারের রাসায়নিক সারের দোকানের সামনে একটি ছোট পানের দোকান বসিয়ে অনেক দিন যাবৎ পান বিক্রি করে সংসার নির্বাহ করে আসছে। এতে বাধসাঁধে মন্ডল। প্রতিদিন রাতে দোকান বন্ধ করে যাওয়া সময় পান দোকানটি উল্টিয়ে রেখে যায়। এনিয়ে দুজনের মধ্যে প্রতিনিয়ত বাকবিতন্ডা হয়। বুধবার রাতে পানের দোকানটি উঠিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পিছনে ফেলে দেয় আশরাফুল। এরই সূত্রধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এমতাবস্তায় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
কোন কিছু না জেনেই এক পক্ষের কথা উপর ভিক্তি করে তাৎক্ষনিক ভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রৌমারী বাজার বনিক সমিতি, অভিমত সুধিজনদের।
পানের দোকানদার ফুল মিয়া বলেন, আমি একটি পানের ছোট দোকান দিয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোন মত সংসারের ব্যয়ভার চালিয়ে আসছি। আশরাফুলের সেটা সহ্য হয়না। বুধবার রাতে আমার দোকানটি মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের পিছনে ফেলে দেয়। বিষয়টি আমার ভাতিজা মিস্টারকে জানালে সে তার কাছে জানতে গেলে তাকেও অপমান করে সে।কান্না ভরা কন্ঠে আরও বলেন, গরিবের উপর সবাই অত্যাচার করে ভাই।
যুবলীগের সাদেকুল আলম সেতু জানান, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানর শেখ আব্দুল্লাহ সাথে কথা বলার সময় তার সামনেই আশরাফুলের স্বজনরা ছাত্রলীগের নাহিদ, সুমন ও বেলালকে মারধর করে আহত করে। তারা হাসপাতালে ভর্তি আছে।
ফুল মিয়ার ভাতিজা মিস্টার জানায়, আশরাফুল রাতের অন্ধকারে ফুল মিয়ার পানের দোকানটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পিছনে ফেলে দেয়। এ নিয়ে আমরা কয়েকজন তার কাছে জানতে গেলে তিনি উত্তেজিত হয়ে তার লোকজনসহ আমাদের উপর হমলা করলে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ফুল মিয়ার পানের দোকানের কারণে আশরাফুলের কোন অসুবিধা হওয়ার কোন কারণ ছিল না। কেন সে তার দোকানটি ভেঙ্গে ফেলে দিল বুঝতেছি না। একটা বেকার ছেলে পান বেঁেচ সংসার চালায়। তার পেটে লাথি মারাটা ঠিক হয়নি।
রাসায়নিক সারের দোকানদার আশরাফুল সাংবাদিকদের বলেন, আমার দোকানের সামনে পানের দোকানের চালা তুলতে চায় ফুল মিয়া। আমি বাধা দিলে আমাকে মারধর করে সন্ত্রাসীরা। এখন বনিক সমিতি যে সিন্ধান্ত দিবে আমি তাই মেনে নিব।
রৌমারী বাজার বনিক সমিতির সভাপতি প্রদিপ সাহা বলেন, আগামী ১৫ তারিখে মন্ত্রী মহোদয় আসলে তার উপস্থিতে বিষয়টি মিমাংসা করা হবে।
এব্যপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। কোন অভিযোগ পাইনি।