ষ্টাফ রিপোর্টারঃ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আয়কর আইনজীবী আবুল বাশার মঞ্জু ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।তিনি জেলা বাসদের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি দিনরাত উপজেলার ৬ ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,গ্রাম-গঞ্জ ঘুরে নারী পুরুষের সাথে মতবিনিময়সহ নিজের প্রার্থীতার কথা তুলে ধরছেন। তিনি টাপুরচর হাট বাজার,পাখিউড়া,শেখের হাট বাজার, সোনাপুর,চরশৌলমারী হাট বাজার,বড়াইকান্দি বাজার,দাঁতভাঙ্গা হাট বাজার, রৌমারী সদর হাট বাজার, যাদুরচর হাট বাজার, খেওয়ারচর বাজার
সোনাপুর,কাজাইকাটা হাট বাজার সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাত করে কোশলাদি জানছেন ,
মতবিনিময় সভায় তুলে ধরছেন আগামীতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে কি কি উন্নয়ন করবেন তার ফিরিস্তিও। যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান ও সভা সমিতিতে। তিনি চরশৌলমারী ইউনিয়নের বাসিন্দা এডভোকেট আবুল বাশার মঞ্জু বিগত ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হওয়ায় জনসমর্থনের দিক দিয়ে তিনি এখন পর্যন্ত নারী পুরুষ ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে পারছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,তিনি রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের পাখিউড়া গ্রামের
মৃত ছখের উদ্দীন আহমেদ এর পঞ্চম সন্তান ।
সাত ভাই-বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। লেখাপড়া -টাপুরচর হাইস্কুল,রংপুর কারমাইকেল কলেজে আইকম,হিসাববিজ্ঞান বিভাগে অনার্স করতে গিয়ে ফাইনাল পরীক্ষা না দিয়ে বিকম পাস করেন।অতঃপর ঢাকা সিটি ল কলেজ থেকে আয়কর ওকালতি পাস করেন।তিনি ছোটবেলা থেকেই সামাজিক সাংস্কৃতিক অবশেষে ভার্সিটি লাইফে সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত হন।রৌমারীতে বিভিন্ন সময়ে বড় বড় সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং তার নেতৃত্ব দেন।তিনি এর আগে দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে হেরে গেছেন।একবার প্রায় ১৪/১৫ হাজার ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন।কিন্তু আজ অবধি তিনি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে অগ্রভাগেই রয়েছেন।চেয়ারম্যান হতে পারলে এই অধিকার আদায়ের পথ সহজ হবে বলে তিনি মনে করেন।নদী শাসন,ন্যায়ভিত্তিক সমাজগঠন,প্রশাসনিক জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা,কৃষি ও চিকিৎসাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অধিক মনোনিবেশ করবেন বলে তাঁর দৃঢ ইচ্ছা। তাঁর ইচ্ছা পূরণ হোক,জনতার জয় হোক।