শাহ মোঃআঃ মোমেন, রৌমারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ আদালতের রায় উপেক্ষা করে পুকুরে মাটি ভরাটে বাধা দিচ্ছেন কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কবীর হোসেন। প্রভাব ঘাটিয়ে প্রকৃত মালিককে জমি ভোগ করতে দিচ্ছে না ইউপি চেয়ারম্যান।
দফায় দফায় বিচার-শালিস করেও সু-ফল পাচ্ছে না ভূক্তভোগীরা। বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ও তসিলদার রজব আলী একটি কুচক্রি মহলের ইঙ্গিতে ওই জমি বেদখল করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
জটিলতা নিরসনে জমির মালিক কুড়িগ্রাম আদালতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করে, যার মোকদ্দমা নং ১৭/২০১৬ ইং। এরই প্রেক্ষিতে ২৩ অক্টোবর ২০১৭ সালে আদালত চান মিয়ার পক্ষে রায় প্রদান করেন। আদালতের রায়কে না মেনে প্রভাব খাটিয়ে যাচ্ছে চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে চান মিয়া অভিযোগ করে বলেন, “এটি আমার দাদার জমি ছিল, বর্তমানে আমার নামে। দীর্ঘ দিন যাবৎ চেয়ারম্যান নানাভাবে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাকে নানা রকম ভয় দেখায় এবং আমার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবী করে।”
ভূক্তভোগী চান মিয়ার বাবা গোলজার হোসেন জানান, এই জমি আমার বাপ-চাচার ছিল। তারা আমাকে দিয়েছে। আমি আমার ছেলে চাঁন মিয়াকে কবলা করে দিয়েছি।’ এ ব্যাপারে বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন জানান, ওই জমিটি সরকারি খাস খতিয়ানে রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে পুকুরটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রতিবছর লিজ দেওয়া হয়। বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে জানানো হয়েছে। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষে জমির কাগজপত্র নিয়ে আগামী ৪ তারিখে আমার কার্য্যালয়ে আসতে বলেছি এবং কাগজপত্র দেখে সমাধানের চেষ্টা করবো”।
এসএম