মঙ্গলবার, ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
মঙ্গলবার, ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

রূপসায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ, এক মাসেও সন্ধান মেলেনি যুবলীগ নেতা রহিমের

নিজস্ব সংবাদদাতা: নিখোঁজ হওয়ার এক মাস পেরোলেও খুলনার রূপসার রহিমনগরের যুবলীগ নেতা রহিম গাজীর সন্ধান মেলেনি এখনও। তিনি ৩ নং নৈহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন (আয়নাল গাজী) এবং রহিমা বেগমের সন্তান। তাঁর পাঁচ বছর বয়সী একমাত্র কন্যা রেশমি এবং স্ত্রী সুমাইয়া এখনও তাঁর ফিরে আসার প্রতীক্ষায় আছেন।

জানা যায়, রহিম গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে দশটার দিকে বাল্যবন্ধু রুম্মান শেখের সঙ্গে রূপসার কাস্টমঘাট থেকে ভৈরব নদীতে নৌকা ভ্রমণে বের হন। রুম্মানের ভাষ্যমতে, পরে আনুমানিক রাতে সাড়ে বারোটার দিকে নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে কাস্টমঘাট এলাকায় নোঙরকৃত একটি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নৌকাটি উল্টে যায়। এ সময় তারা জাহাজটির তলে ডুবে যেতে থাকলে রুম্মানের হাতে অন্য একটি জাহাজের দড়ি বাঁধলে সে তা আঁকড়ে ধরে ”বাঁচাও, বাঁচাও” বলে চিৎকার করে। পরে ওই জাহাজের লোকেরা আরেকটি দড়ি ফেলে রুম্মানকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও রহিম প্রবল স্রোতে তলিয়ে যান। পরে নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, ডুবুরি দল এবং পরিবারের নিজ উদ্যোগে আটদিন অনেক খোঁজাখুঁজি করা হলেও নৌকা কিংবা তাঁকে আর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে নিখোঁজ রহিমের ঘটনার একমাত্র সাক্ষী রুম্মানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

পরে এ ঘটনায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজের মা রহিমা বেগম রূপসা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা রহিমা বলেন, আমি আমার সন্তানকে ফিরে পেতে চাই। এক মাস হয়ে গেলেও আমার ছেলের কোনো খোঁজ মেলেনি। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি আমার ছেলের বিষয়ে যেন সুষ্ঠু তদন্ত করা হয়।

এ বিষয়ে রূপসা থানার এসআই প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দলের সঙ্গে খোঁজ করেও রহিমের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিষয়টি আসলে দুর্ঘটনা নাকি অন্যকিছু তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে সবকিছু বলা যাবে।

এ দিকে বিষয়টি নিয়ে এলাকার সাধারাণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রহিম পরোপকারী একজন মানুষ ছিলেন। তাঁর আকস্মিক নিখোঁজ হওয়ার সংবাদে পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। এতদিনেও রহিমের লাশ কিংবা নৌকা না পাওয়ায় সকলের মাঝে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে থাকা রুম্মানের একেক সময় একেক রকম বক্তব্য দেওয়ার ভিত্তিতে কেউ কেউ বলছেন তাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে।

সম্পর্কিত