শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে ১৭ জনের মৃত্যু

বিশ্ব ডেস্ক: ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আরও অর্ধ শতাধিক মানুষের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির উত্তরাঞ্চলের চেরনিহিভ শহরে রাশিয়া এ হামলা চালায় বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলের চেরনিহিভ শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জরুরি সেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছে। পাশাপাশি এই হামলায় তিন শিশুসহ ৬০ জনের বেশি আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।

শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি বহুতল ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে বলে শহরের মেয়র অলেক্সান্ডার লোমাকো নিশ্চিত করেছেন। আর কর্মকর্তারা শহরটির প্রাণকেন্দ্রে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার বিষয়ে জানিয়েছেন।

চেরনিহিভের ভারপ্রাপ্ত মেয়র অলেক্সান্ডার লোমাকো বলেছেন, একটি ভবনে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত করেছে। ফলে ভবনটির বেশ কয়েকটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কিয়েভের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বরাতে হামলায় আরও চারটি উচ্চ ভবন, একটি হাসপাতাল, কয়েক ডজন গাড়ি এবং একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

জরুরি পরিষেবাগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন এবং কর্মকর্তারা জনসাধারণকে স্বেচ্ছায় রক্ত ​​দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসার আবেদন জানাচ্ছেন।

এ দিকে রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়ায় একটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের হামলার খবর প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে প্রতিশোধের অংশ হিসেবেই এই হামলাটিকে চিহ্নিত করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

তবে ইউক্রেনের হামলার বিস্তারিত কোনো কিছু সম্বন্ধে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় চ্যানেলগুলোকে উত্তর ক্রিমিয়ার ঝানকোয় অ্যায়ারফিল্ডে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও শেয়ার করতে দেখা গেছে।

এই হামলার পর ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমাদের কাছে আবারও আকাশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার এই হামলাটি সফল হতো না যদি ইউক্রেন পর্যাপ্ত আকাশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেতো। এ সময় তিনি পশ্চিমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করার আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করেন।

উল্লেখ্য, রুশ সীমান্ত থেকে চেরনিহিভ শহরটি মাত্র ১০০ কিলোমিটার (৬০ মাইল) দূরে অবস্থিত। ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের শুরুতে চেরনিহিভ শহরটির অনতিদূরে কিছু অঞ্চল কয়েক সপ্তাহ ধরে দখল করে রেখেছিল রাশিয়া। তখন এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শহরটি অবরুদ্ধ ছিল। চলমান যুদ্ধে শহরের প্রায় ৭০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং শত শত বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন বলে শহরটির মেয়র জানিয়েছেন। এ ছাড়া ২০২৩ সালের আগস্টে শহরের একটি থিয়েটারও রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এতে সে সময় সাতজন প্রাণ হারিয়েছিলেন।

সম্পর্কিত