নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-রায়গঞ্জে জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাঙচুর মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২মে সোমবার আনুমানিক রাত্রী ৯টায় সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সারুটিয়া নামক গ্রামে মজিবর রহমানের বাড়িতে তারই বড় ভাই চাঁন মিয়া ও তার ভাড়াটিয়া মাস্তানদের নিয়ে এ হামলা ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটায়।
সারুটিয়া গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছেলে মোঃ মজিবর রহমান (৬৫) গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার তিন দিন পূর্বে তার আপন বড় ভাই মোঃ চান মিয়াঁ (৭০) ও তার দলবল মিলে মজিবর রহমানের নিকট হতে ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। মজিবর রহমান চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, তার বড় ভাই চাঁন মিয়া, চাঁন মিয়ার বড় ছেলে শাহাব উদ্দিন ওরফে ইউসুফ আলী (২৫), চাঁন মিয়ার ভগ্নিপতি মজনু আকন্দ (৫০) সহ ৩০-৩৫ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী লাঠি,রড, পাইপ সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে এ হামলা, ভাঙচুর ও মারধর চালায়। এ সময় মজিবর রহমানকে সন্ত্রাসীরা বেধড়ক মারপিট শুরু করলে, তার দুই ছেলে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও হাসান আলী তার বাবাকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের দুই ভাইকেও বেধড়ক মারপিট করেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা বাড়িঘর ভাঙচুর, নগদ অর্থ লুট সহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। অবস্থা বেগতিক দেখে মুজিবর রহমানের বড় ছেলে মোঃ মোখলেছুর রহমান (৩৮) জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল করেন। জরুরী সেবায় ফোন করায় সন্ত্রাসীরা টের পেয়ে পুলিশ আসার আগেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এই ঘটনায় সারুটিয়া গ্রামের মৃতঃ কোরবান আলীর ছেলে মোঃ চাঁন মিয়া কে প্রধান আসামি করে নামধারী ১৮জন এবং অজ্ঞাত ১২/১৪ জনের নামে মুজিবর রহমান বাদী হয়ে মোকাম দ্রুত বিচার আদালত সিরাজগঞ্জে ২০০০ সালের আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন আইনের ৪/৫ ধারাসহ মামলা দায়ের করেন। অন্যান্য আসামিরা হলেন, সারুটিয়া গ্রামের মৃতঃ কোরবান আলী আকন্দ এর পুত্র মজিবর আকন্দ (৫০), চাঁন মিয়ার পুত্র শাহাব উদ্দিন ওরফে ইউসুফ আলী (২৫), একই এলাকার মৃতঃ আঃ গফুরের পুত্র মোঃ মাজেম আলী (৫০), মোঃ নুর ইসলাম (৩৫), মোঃ মাজেম আলী শেখ এর পুত্র মোঃ নাজমুল শেখ (২৬), মোঃ চাঁন মিয়ার ছোট ছেলে মোঃ ইউনুছ আলী (২০), নওশের আলীর পুত্র মোঃ জামশেদ আলী (৪৫), নিঝুড়ী গ্রামের মৃতঃ আঃ কুদ্দুসের পুত্র মোঃ বাবলু (৫২), মৃতঃ আঃ মান্নানের পুত্র মোঃ আইয়ুব আলী (২২), মৃতঃ মোজাম্মেল হকের পুত্র মোঃ সুমন (২২), ধনকুন্ডি গ্রামের কাজেম আলী ছুতারের পুত্র মোঃ বাবলু মিয়া (৪০), বাবলুর ছোট ভাই মোঃ শহীদ (৩৫), শহীদ আলীর পুত্র জাকির হোসেন (২৫),মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৩০), মোঃ তরিকুল ইসলাম (২২) এবং মৃতঃ নুরুল ইসলামের পুত্র মোঃ আজিবর (২৮)। মামলার পর থেকেই আসামিরা বাদী ও তার পরিবারকে নানান ধরনের হুমকি ধামকি সহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে।
এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।