ক্যাম্পাস প্রতিনিধি ,বদরুল ইসলাম জামিল: ক্যাম্পাসে ভর্তি পরিক্ষা মানে ঈদের মতো আনন্দ। ঈদের দিন যেমন ঘরে ঘরে অতিথি থাকে ঠিক তেমনি ভর্তি পরিক্ষার দিনেও প্রতি হলে হলে অতিথি দিয়ে টইটম্বুর হয়ে যায় হয়ে পুরো ক্যাম্পাস। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মুখেই শোনা যায় ‘রুমে ৬-৭ জন করে অতিথি আছে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের ভর্তি পরিক্ষা শেষ হয়েছে আজ (৭মার্চ)।
অবিভাবকসহ ক্যাম্পাসে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষের আগমন ঘটেছিল এই তিন দিনে। দেখতে দেখতে আজকে তৃতীয় দিনের মধ্যে দিয়ে এবারের পরীক্ষার সমাপ্তি ঘটলো। এই বিশাল জনসমাগমে হয়তো তাদেরকে সুন্দরভাবে আপ্যায়ন করতে পেরেছি অথবা পারিনি। তবে আমরা চেষ্টা করেছি তাদের সর্বোচ্চ সহোযোগিতায় এগিয়ে আসতে। অন্যান্য সংগঠনসহ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নানা আয়োজন ছিলো এই তিন দিনব্যাপী ভর্তিযুদ্ধে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি মোস্তফিজুর রহমান বাবু ভাই ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব’ ভাইয়ের সরাসরি অংশগ্রহণে পুরো তিনদিন জুড়েই ছিল নানা আয়োজন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মাঝে পানি, কলম বিতরণসহ জরুরি সহায়তার জন্য ছিল জয় বাংলা বাইক সার্ভিস।
এছাড়াও ভর্তি পরিক্ষা আসলেই দেখা দেয় লক্ষ লক্ষ মানুষের আবাসন সংকট। নতুন শহরে আসা মানুষজন জায়গা খুঁজে না পেয়ে কেউ কেউ হয়তো রাস্তাতেও অবস্থা করতে দেখা যায়। এই সংকটকে মোকাবিলা করতেই প্রতি হলে আবাসনের ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
পথ নির্দেশনা প্রদান-
সু-বিশাল এই ক্যাম্পাসে এসে দেখা যায় সবচেয়ে বড় বিড়ম্বনা হচ্ছে পথ খুঁজে না পাওয়া। আর এই বিড়ম্বনা মেটাতেই ছাত্রলীগের কর্মীগণ সেচ্ছাসেবীরুপে দায়িত্ব পালন করে।
ন্যায্য ভাড়া প্রদানের সহযোগিতা-
ভর্তি পরিক্ষা আসলেই দেখা দেয় রিক্সা-অটো ড্রাইভাদের সিন্ডিকেট করে ভাড়া বাড়িয়ে দেয়ার প্রবনতা। ২০ টাকার ভাড়া ৫০ থেকে ২০০ টাকা আদায় করতে দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেও সেসব নির্দেশনা শুধু বিলবোর্ড পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থেকে যায়। আর এই সমস্যা সমাধানেই ছাত্রলীগের কর্মীরা বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে অবস্থান করে এসব সিন্ডিকেট রুখে দিতে।
জয় বাংলা বাইক সার্ভিস-
সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সর্বোচ্চ সাড়া পাওয়া কার্যক্রম ছিলো ‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’ যেসব শিক্ষার্থীরা এই সার্ভিস ভোগ করেছে তারা হয়তো কখনো ভুলতে পারবে না এই সহযোগিতার কথা। এতো এতো মানুষের ভিড়ে সঠিক ভবন খুঁজে না পাওয়া অথবা দেরিতে আসা শিক্ষার্থীদের হতাশার অবসান ঘটাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন।
কারো পরিক্ষার সময় বাকী মাত্র ৫ মিনিট কিন্তু তার পরিক্ষার ভবনে পৌঁছাতে সময় লাগবে ২০ মিনিটের মতো, এমন ঘটনা প্রায় সময়েই ঘটে থাকে। সে সময়ে শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়াতেই কর্মীগণ সর্বোচ্চ সহোযোগিতার হাত বড়িয়ে দিয়েছিলো। এভাবেই শিক্ষার্থী, অবিভাবকের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগের কর্মমীগণ।
প্রসঙ্গত, আজ বি ইউনিটের পরিক্ষার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে এবারের ভর্তিযুদ্ধ।