শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

রাণীনগরে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক মোছা. ময়না খাতুনের বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি এই সনদ দিয়ে নিয়োগ বাগিয়ে নেওয়ার পর ১২ বছর ধরে ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। উত্তোলন করে যাচ্ছেন সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা। তথ্য বলছে এ পর্যন্ত শিক্ষিকা ময়না প্রায় ২৩ লাখ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন করেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৭ সালের পাশ করা একটি শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে মোছা. ময়না খাতুন সহকারী শিক্ষক হিসাবে মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরিতে নিয়োগ নিয়েছেন। এনটিআরসিএ এর ওয়েবসাইটে সেই সনদের রোল নাম্বার দিলে সনদধারীর কোন তথ্য আসে না। শুধুমাত্র ওই সনদের তথ্যই আসে। এরপর জেলা শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করলে ওই রোল নম্বরধারীর কোন তথ্য জেলা শিক্ষা অফিসের রেজিস্ট্রারে পাওয়া যায়নি। তিনি ওই বিদ্যালয়ে গত ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর বাংলা বিষয়ের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ নেন। নিয়োগের সময় তিনি যে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জমা দেন তার রোল নম্বর ৫১০১০০৫১ এবং নিবন্ধন নম্বর ৭০০৬০৮১। সেই সনদের আবশ্যিক বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর ৪৪ এবং ঐচ্ছিক বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪৩। এরপর তিনি ২০১১ সালের ১ মে বি.এডসহ এমপিওভুক্ত হন। এমপিওতে তার ইনডেক্স নং ১০৫৭৯১৪। তখন থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত তিনি চাকরি করে বেতন উত্তোলন করে যাচ্ছে। এরমধ্যে তিনি গত ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে উচ্চতর স্কেলে বেতন নেন।

প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি বলেন, শিক্ষিকা ময়না ২০০৭ সালের একটি জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে সবার অগোচরে চাকরি করে যাচ্ছেন। কিন্তু সঠিক তদন্ত হলে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি জাল বলে প্রমাণিত হবে। কর্তৃপক্ষকে ওই শিক্ষিকার সনদটি যাচাইয়ের দাবি জানাচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষিকা মোছা. ময়না খাতুন বলেন, আমি জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে চাকরি করছি না। আমার সনদ সঠিক আছে।

এ বিষয়ে তথ্য চাইলে মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল কুমার সরকার বলেন, আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানি না। ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষিকার কাগজপত্র চাইলে বিদ্যালয় থেকে তা দেওয়া হবে। এছাড়া কর্তৃপক্ষ আমাকে কোন নির্দেশনা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ওই শিক্ষিকার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যদি জাল হয় তাহলে যাচাই সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত