শাহিনুল ইসলাম লিটনঃ
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় কয়েকবার উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী সংস্থা এবং উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধমূলক সভা-সেমিনারের পরেও যেন বাল্যবিবাহের হিরিক পরে গেছে। যদিও বা পূর্বের তুলনায় উপজেলায় বাল্যবিবাহ অনেকটাই কমে গেছে।
গত মঙ্গলবার (২৫/০২/২০ ইং) উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথকভাবে বিভিন্ন ধারায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, রাজারহাট উপজেলার অদম্য সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ যোবায়ের হোসেন।
এর মধ্যে রাজারহাট উপজেলার দেবীচরণ গ্রামের, বর মোঃ ছালেম মিয়া (২৩), পিতাঃ মৃত সাইদুল ইসলামকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় পূর্বক তিন মাসের জেল প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও উমরমজিদ ইউনিয়নের সরদারপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করলে বর পালিয়ে যায়। শুধু কনে মোছাঃ মুক্তা আক্তার (১৭), পিতাঃ মোঃ মহুবর হোসেন, গ্রামঃ ফুলখাঁ মন্ডলপাড়া এবং বিয়ের দাওয়াত খেতে আসা তিন জন মোঃ আবুল কাশেম (৫০), মোছাঃ গোলাপী বেগম (৪৫), নুর মোহাম্মদ মিয়া (৬৯) কে আটক করে তাদের প্রত্যেকের দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে সাত দিনের জেল প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে বর এবং কনের এলাকার ইউপি সদস্যদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা এ বিয়ে বিষয়ে কিছুই জানি না। অবশ্যই বাল্যবিবাহ একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।আমরা এলাকায় মাইকিং করেও জনগনকে সচেতন করেছি। তবে এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার কারনে বাল্য বিয়ের প্রকোপটা বেশি দেখা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ যোবায়ের হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এরকম অভিযান অব্যাহত থাকবে।তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।সকলকে সচেতন হওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।