কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা:
পুলিশ পরিচয়ে রাজারহাট ডাংরা বাজার ঢুকেই লাঠিচার্জ শুরু করেন তিন যুবক।এক পর্যাপ্ত বাজারে আতঙ্কের সৃষ্টি হলে তারা বিকাশ এবং ঔষধ ব্যবসায়ী ফিরোজ আলমের দোকানের সামনে গিয়ে দোকান খোলার অপরাধে আটক করে এবং চাঁদা দাবী করেন। পরিচয় জানতে চাইলে রাজারহাট থানা থেকে আসছে বলে জানায়।
স্থানীয় লোকজন রাজারহাট থানার সব পুলিশ কে চিনেন বললে সবাইকে আতঙ্কিত করে মোবাইল ফোন কানে নিয়ে কথা বলার অভিনয় করে ফিরোজ আলমকে সহ এক মোটরসাইকেল ৪ জন উঠে থানায় নিবেন বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ঘটনাটিতে উপস্থিত জনতার সন্দেহপ্রবণ মনে হলে তারা বাছড়া বাজারে ফোন করে মোটরসাইকেল আটকাতে বলেন।
বাছড়া বাজারে ৩ স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয় এবং কাঠমিল সংলগ্ন ঝাড়িঝাড় বাছড়া রোডে তাদের কে থামতে বলা হলে গাড়ির গতিবেগ বাড়ায় দেন।পরে উপস্থিত জনতা গাড়ি টেনে আটকায়।
এক পর্যায়ে ব্যবসায়ী আটককৃত ফিরোজ আলমকে রেখে বাকী ৩ জন পালানোর চেষ্টা করলে পঁচা নামক এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে মিলন নামের সেই নাটকীয় পুলিশকে আটকিয়ে রাজারহাট থানা পুলিশকে সোপর্দক করা হয়।
পরে স্থানীয় উৎসুক জনতা দ্বিতীয় অপরাধী আতাউরকে পাশের এক খড়ের গাদা থেকে খুঁজে বের করেন।আটককৃত ২ জনের বাড়ি ফরকেরহাট বালাকান্দি বলে জানা গেছে এবং এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত বাকী একজনকে খুজে পাওয়া যায় নাই।