শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

রাজবাড়ীতে মৃত ব্যক্তি নিজেই দিলেন দরখাস্ত

রাজবাড়ী প্রতিনিধি ঃমৃত ব্যক্তি পায়ে হেঁটে উপজেলা নির্বাহী অফিসার’র কার্যালয়ে গিয়ে দরখাস্ত দিলেন, বিষয়বস্তু শুনে তাৎক্ষণিক সমাধান দিলেন পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরি, সাথে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন উপজেলা সমাজ সেবা অফিসারকে।

এমনই এক আজব ঘটনা ঘটেছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের তত্তিপুর গ্রামের আকিরণ নেছার সাথে। আকিরণ নেচ্ছা ৭১ বছর বয়সী বিধবা নারী, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সরকারের দেওয়া সুবিধা প্রাপ্ত হয়ে পাংশা উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয় থেকে বয়স্ক ভাতা পেয়ে আসছিলেন, হঠাৎ করে ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে তার ভাতা বন্ধ হয়ে যায়, কেন তার ভাতা বন্ধ হয়েছে এ বিষয়ে ওই বয়স্ক নারী কলিমহর ইউনিয়ন পরিষদ ও পাংশা উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন তিনি আর বেচে নেই, তিনি মৃত তাই তার স্থলে অন্য একজন নারী বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার ( ১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আকিরণ নেচ্ছা তার ছেলের বউকে সাথে নিয়ে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরীর নিকট লিখিত অভিযোগ দেন, অভিযোগে তিনি লেখেন আমি বেচে আছি কি ভাবে আমার মৃত দেখানো হয়েছে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও আমার ভাতা পুনরায় আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এর সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার চাই।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ জাফর সাদিক চৌধুরি উপজেলা সমাজ সেবা অফিসারকে ভাতা প্রতি স্থাপনের নির্দেশ দেন, সেই সাথে জীবিত মানুষকে মৃত বানানোর বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা বের করতে বলেন। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আকিরণ নেচ্ছার স্থলে যাকে ভাতা দেওয়া হচ্ছিল তিনি কলিমহর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

কলিমহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিলকিস বানু একজন জীবিত মানুষকে কি ভাবে মৃত সনদ দিলেন বিষয়টি নিয়ে নানা গুণিজন শুরু হয়েছে, সেই মৃত সার্টিফিকেট দিয়ে ভাতা প্রতিস্থাপন করায় বিষয়টি আরো ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। কলিমহর ইউনিয়ন পরিষদের এমন কাজে হতভম্ব স্থানীয় সচেতন মহলসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

এ বিষয়ে কলিমহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিলকিস বানুর সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেন নি পরে বারংবার চেষ্টা করার পর ফোন ধরে তবে সাংবাদিক শুনে কথা না বলেই ফোন রেখে দেন পরে আর ফোন ধরেননি।

পাংশা উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন অভিযোগ পেয়ে ইউএনও মহোদয় তাৎক্ষণিক ভাতা প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন আমরা তা বাস্তবায়ন করেছি, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে আমরা দেখব।

সম্পর্কিত

মাত্রই প্রকাশিত