রাজবাড়ীতে ভোক্তা অধিকারে অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃরাজবাড়ী জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ঝ জৌকুড়া বাজারে অভিযান পরিচালনা করে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য রাখার অপরাধে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (২১ এপ্রিল ) দুপুরে জেলার রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ও জৌকুড়া বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান।

এলাকায় বিভিন্ন নিত্য-প্রয়োজনীয়
পণ্যের দোকান, ফার্মেসী, ঔষধ ও খাদ্য সামগ্রী বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানসহ বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তদারকি করেন। নিষিদ্ধ পণ্যের উৎপাদন ও বিক্রয়রোধ, অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ রোধসহ, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য এবং অননুমোদিত ও অবৈধ পণ্য বিক্রয় না করাসহ ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করেন। এছাড়াও নির্ধারিত নিত্য পণ্যের মূল্য যথাযথভাবে বিক্রয় সঠিকতা যাচাইসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সর্বসাধারণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট ও প্রচারপত্র প্রদান করেন। উক্ত কার্যক্রম পরিচালনাকালে ভোক্তা-অধিকার
সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর যথাক্রমে; ৪৫ ও ৫১ ধারার লঙ্ঘনজনিত বিভিন্ন অপরাধে
চন্দনী ও জৌকুরা বাজারের মেসার্স মোল্লা ফার্মেসিকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৫ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধ (প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করার অপরাধে ২ হাজার টাকা,
মেসার্স শাকিব স্টোরকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫১
ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধ (মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করার অপরাধে ২ হাজার টাকা, মেসার্স আফজাল স্টোরকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫১ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধ প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করার অপরাধে ৩ হাজার টাকা ও একই উপজেলার চন্দনী বাজারের মেসার্স শিদিন কনা স্টোরকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫১ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধ প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করার অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে জেলা পুলিশের সদস্যবৃন্দ ও সদর উপজেলা সেনেটারি ইন্সপেক্টর অংশগ্রহণ করেন।

এসময় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচারক কাজী রকিবুল হাসান জানান, জনস্বার্থে এরূপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।